(Source: Poll of Polls)
শ্রীদেবীর মৃত্যুরহস্য: হোটেলর ঘরে কি সেই সময় ছিলেন বনি কপূর? ধোঁয়াশা মৃত্যুর সময় নিয়েও
দুবাই: মৃত্যুর সময় কি হোটেলের ঘরে একাই ছিলেন শ্রীদেবী? নাকি তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বামী বনি কপূর? বাথরুমে প্রথম তাঁকে দেখেন কে? এসব প্রশ্ন ঘিরেই এখন মাথাচাড়া দিচ্ছে জল্পনা। ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে মৃত্যুর সময় নিয়েও। বিভিন্ন সূত্র মারফত সামনে আসছে পরস্পরবিরোধী একাধিক তথ্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পর যেমন বাথটবের জলে ডোবার প্রকৃত কারণ নিয়ে প্রশ্ন যেমন উঠছে, তেমনই জোরালো হচ্ছে আরও দুটি প্রশ্ন। তা হল-- অন্তিম মুহূর্তে কি শ্রীদেবীর সঙ্গে আরও কেউ ছিলেন না কি হোটেলের ঘরে সে সময়ই একাই ছিলেন শ্রীদেবী? আরেকটি প্রশ্ন হল-- বাথরুমে শ্রীদেবীকে প্রথম কে দেখেছিলেন, বনি কপূর না হোটেলের কর্মী? এই প্রশ্নগুলির উত্তর ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, তার কারণ এ বিষয়ে পরষ্পরবিরোধী তথ্য সামনে আসছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সংবাদপত্র খলিজ টাইমসের দাবি, ২৪ ফেব্রুয়ারি মুম্বই থেকে ফের দুবাইয়ে যান শ্রীদেবীর স্বামী বনি কপূর। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি পৌঁছোন জুমেরা এমিরেটস টাওয়ার হোটেলে, যেখানে শ্রীদেবী ছিলেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ১৫ মিনিট কথা হয়। তারপর বনি কপূর নৈশভোজে যাওয়ার কথা বললে শ্রীদেবী তৈরি হতে যান। ১৫ মিনিট কেটে যাওয়ার পরও কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে বাথরুমের দরজায় ধাক্কা দেন বনি কপূর। তাতেও সাড়া না পেয়ে তিনি বাথরুমের দরজা ভেঙে ঢুকে দেখেন, শ্রীদেবী বাথটবে পড়ে রয়েছেন। এরপরই তিনি বন্ধুদের ফোন করেন। কিন্তু, কপূরদের পারিবারিক বন্ধুদের একটি সূত্রের দাবি অবশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেই সূত্রের দাবি অনুযায়ী, শ্রীদেবী হোটেলের ঘরে একা ছিলেন। ২৪ তারিখ রাত ১০.৩০ নাগাদ তিনি ঘর থেকে ফোন করে জল চান। কিন্তু, হোটেলের কর্মীরা জল দিতে গিয়ে বারবার দরজা ধাক্কা দিয়েও তাঁর কোনও সাড়া পাননি। এরপরই তাঁরা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। বিপদের কথা আঁচ করে হোটেলের কর্মীরা ঘরের দরজা ভেঙে দেখেন শ্রীদেবী অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এরপর তাঁরাই অভিনেত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হোটেলের তরফেই শ্রীদেবীর পরিবারকে গোটা ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয়। শুধু এই নয় শ্রীদেবীর মৃত্যুর সময় নিয়েও উঠে আসছে পরষ্পরবিরোধী তথ্য। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়েছিল সন্ধে ৬টায়। আরেকটি অনুযায়ী রাত ১১টায়। একটি ওয়েবসাইটের আবার দাবি, রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হোটেলের কর্মীরা শ্রীদেবীকে উদ্ধার করেন। কিন্তু, এই দাবি সত্যি হলে, ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দুবাইয়ে পৌঁছে গেলেও, অত রাত পর্যন্ত কেন স্ত্রী শ্রীদেবীর সঙ্গে দেখা করেননি স্বামী বনি কপূর? এই পরিস্থিতি দুবাই পুলিশ নানা প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে। ঘটনাক্রমগুলি পরপর সাজাচ্ছে তারা। এ ধরনের পরস্পরবিরোধী খবরই শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। দুবাই পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রীদেবীর মৃত্যুর তদন্ত চলছে।