Srijato Controversy: রামপ্রসাদী গানের লেখক হিসেবে শ্রীজাতর নাম! সংস্থার ভুলে তীব্র আক্রমণের মুখে কবি-পরিচালক
Srijato Controversy: শুধু তাই নয়, পরিচালক কবি জানিয়েছেন, ভুল দেখা মাত্রই তিনি প্রতিবাদ করেছেন এবং পুরস্কার কেন, মনোনয়নটি পর্যন্ত নিতে অস্বীকার করেছেন
কলকাতা: মনোনয়নপত্র এসেছিল। তখন কাজে ভীষণ ব্যস্ত শিল্পী। চিঠি খুলে দেখার সময় পাননি। পরে সময় পেয়ে চিঠি খুলে দেখেই তাঁর চোখ কপালে। মস্ত ভুল তথ্য। সঙ্গে সঙ্গে প্রেরকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঠিকও করলেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণ যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছে ট্রোলিং থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত আক্রমণে। 'মন রে কৃষিকাজ জানো না' গানের লেখক নাকি শ্রীজাত (Srijato)! রামপ্রসাদী এই গানে কী করে এল কবির নাম? ঠিক কী ঘটেছিল। বাধ্য হয়ে কলম ধরলেন খোদ শ্রীজাতই।
টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ডস-এর তরফ থেকে এই গানটির গীতিকার হিসেবে সেরা গীতিকারের মনোনয়নপত্র এসেছিল শ্রীজাতর কাছে। রাণা সরকার প্রযোজিত, শ্রীজাতর প্রথম পরিচালিত ছবি 'মানবজমিন'-এর গান এটি। ওই ছবির জন্য এই গানটি গেয়েছিলেন অরিজিৎ সিংহ (Arijit Shingh)। তাঁর পরিচালিত ছবিতে ব্যবহৃত হলেও, এই গানটি আসলে রামপ্রসাদের লেখা, অতি প্রাচীন একটি গান। সেই গানের লেখত হিসেবে নিজের নাম দেখে অবাক শ্রীজত। তখনই প্রেরকের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্রীজাত জানান, পুরস্কার কেন, এই মনোনয়নপত্রও নেওয়া সম্ভব নয়। সংস্থার তরফ থেকে ভুল স্বীকার করে শুধরে দেওয়া হয় তখনই। ব্যক্তিগতস্তরে তাঁরা দুঃখপ্রকাশও করেন শ্রীজাতর কাছে।
কিন্তু ততক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই চিঠির প্রতিলিপি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। চলছে ট্রোলিং, ব্যক্তিগত আক্রমণও। অবাক, আহত শ্রীজাত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন, 'অনেকেই দেখলাম ধরে নিয়েছেন যে, এই পুরস্কার আমি পাচ্ছি ও গ্রহণ করছি। তাঁরা সম্ভবত মনোনয়ন এবং পুরস্কারের তফাতটুকুও জানেন না। এই দুয়ের মধ্যে কতগুলো পর্যায় আছে বা থাকতে পারে, তাও তাঁদের জানা নেই। এও জানেন না যে, মনোনয়ন ব্যক্তি-মানুষের গ্রহণ বর্জনের বাইরে। গ্রহণ বা বর্জনের বিষয় তখনই আসে, যখন কেউ পুরস্কৃত হন। নইলে নয়। তাই আমি কেন এই মনোনয়ন গ্রহণ করলাম, এ-প্রশ্ন ভিত্তিহীন। কিন্তু এই মনোনয়নের বিরোধ নিশ্চয়ই করা উচিত, যা আমি যথাস্থানে করেওছি।'
শুধু তাই নয়, পরিচালক কবি জানিয়েছেন, ভুল দেখা মাত্রই তিনি প্রতিবাদ করেছেন এবং পুরস্কার কেন, মনোনয়নটি পর্যন্ত নিতে অস্বীকার করেছেন। অর্ধসত্য ঘটনা জেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ট্রোলিং হওয়ায় আহত তিনি। তাঁর বক্তব্য, 'পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থার তরফে বড় রকমের ত্রুটি হয়েছে এবং বিষয়টি প্রকাশে চলে আসায় তাঁদের উপর ঘটনার দায় বর্তেছে, যা স্বাভাবিক। তাঁরা এই দায় সরকারিভাবে ইতিমধ্যেই কোথাও স্বীকার করেছেন কিনা, আমার জানা নেই। জেনে খুব একটা লাভও নেই। আমি নিজে এই মনোনয়নের বিরোধিতা করেছি এবং তাতে কাজও হয়েছে, এটুকুই জানানোর ছিল।'
সেইসঙ্গে ওই মনোনয়ন পত্রের পরিবর্তিত সঠিক কপিটিও পোস্ট করেছেন শ্রীজাত