Sandeep Nahar Suicide: ‘আত্মঘাতী’ সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সহ-অভিনেতা সন্দীপ নাহার
Sandeep Nahar: মুম্বইয়ের গোরেগাঁও অঞ্চলে তাঁর বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
নয়াদিল্লি: অভিনেতা সন্দীপ নাহারের রহস্যমৃত্যু। মুম্বইয়ের গোরেগাঁও অঞ্চলে তাঁর বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ পুলিশের। আত্মহত্যার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ।
Actor Sandeep Nahar dies allegedly by suicide at his residence in Mumbai's Goregaon area. Case lodged, matter being probed: Mumbai Police
— ANI (@ANI) February 15, 2021">
প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে ‘এম এস ধোনি-দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ এবং অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘কেশরী’ ছবিতে কাজ করেন সন্দীপ। তিনি চলচ্চিত্র ছাড়াও ছোটপর্দায় বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে কাজ করেন। তাঁর এভাবে মৃত্যুতে বলিউডে শোকের ছায়া।
মৃত্যুর আগে এই অভিনেতা ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি স্ত্রীকেই দায়ী করেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তিনি যে আত্মহত্যা করবেন, সেটা বোধহয় কেউই ভাবতে পারেননি।
ফেসবুকে পোস্ট করা ওই ভিডিওতে সন্দীপকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা নিশ্চয়ই আমাকে কয়েকটি ছবিতে দেখেছেন। আমি এম এস ধোনিতে ছোটু ভাইয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। এই ভিডিও করার পিছনে একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। আমার ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। আমার স্ত্রী কাঞ্চন শর্মার জন্য আমি মানসিকভাবে অস্থির। আমি গত দেড়-দু’বছর ধরে ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমি স্ত্রীকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ও আমার সঙ্গে ৩৬৫ দিনই ঝগড়া করে। ও প্রতিদিন আত্মহত্যা করার কথা বলে। ও বলে, আত্মহত্যা করবে এবং তার জন্য আমাকে দায়ী করবে। আমি অত্যন্ত হতাশ। ও আমার পরিবার এবং মাকে অপমান করে। আমি ওর সামনে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারি না। ও আমাকে সন্দেহ করে, যে কারও সঙ্গেই আমার নাম জড়িয়ে দেয়। ওর সন্দেহের বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। ও আমার সঙ্গে ঝগড়া করতেই থাকে। ও এর আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। আমি হন্যে হয়ে ওকে খুঁজছিলাম। ওর মা ওকে সমর্থন করেন এবং আমার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।’
সন্দীপ আরও দাবি করেন, ‘আমার স্ত্রীর একাধিক প্রাক্তন প্রেমিক রয়েছে। ২০১৫-১৬ সালেও ওর একজন প্রাক্তন প্রেমিক ছিল, যার সঙ্গে ও প্রায় ৬ বছর ছিল। ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে একজন প্রাক্তন প্রেমিককে জেলে পাঠিয়েছিল। ওর প্রতি আমার মায়া হয়েছিল বলেই বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু ও আমার পরিবারের লোকজনকে ঘৃণা করে। ও এরপর যখন বিয়ে করবে, তখন আশা করি কেউ ওর মস্তিষ্কের চিকিৎসা করাবে।’