Ritabhari Chakraborty: অস্কারের দৌড়ে 'পাপা বুকা', বঙ্গকন্যা ঋতাভরীর সিনেমা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে
Papa Buka: ছবির কাহিনি এক যুদ্ধবিধ্বস্ত সময়ের প্রেক্ষাপটে। সেই প্রেক্ষাপটে এক অজানা সত্যের গল্পে বলবে এই ছবি

কলকাতা: ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty) অভিনীত সিনেমা এবার অস্কারের নমিনেশনে। প্রশান্ত মহাসাগরের বুকের ছোট্ট দেশ একটা দেশ পাপুয়া নিউগিনি। এই প্রথম তারা অস্কারের নমিনেশনে সিনেমা পাঠাচ্ছে। ছবির নাম, 'পাপা বুকা'। আর এই সিনেমারই প্রধান মুখ ঋতাভরী চক্রবর্তী। বেশি কিছুদিন আগেই এই ছবির কাজ শেষ করেছেন ঋতাভরী। সেই সময়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার ও করে নিয়েছিলেন এই সিনেমায় কাজ করার একেবারে অন্যরকম অভিজ্ঞতা। তবে সেই সিনেমাই যে তাঁকে এত বড় সম্মান এনে দেবে, তা কল্পনাও করেননি ঋতাভরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই এই খবর শেয়ার করে নিয়েছেন উচ্ছ্বসিত নায়িকা।
ছবির কাহিনি এক যুদ্ধবিধ্বস্ত সময়ের প্রেক্ষাপটে। সেই প্রেক্ষাপটে এক অজানা সত্যের গল্পে বলবে এই ছবি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্ধকার অধ্যায়ে ভারত ও পাপুয়া নিউগিনির মধ্যে গড়ে ওঠা অদেখা সেতুবন্ধন, বিসর্জন আর মানবিকতার গল্পই ফুটে উঠেছে ‘পাপা বুকা’র গোটা সিনেমা জুড়ে। বৃদ্ধ যোদ্ধা ‘পাপা বুকা’ দুই ভারতীয় ইতিহাসবিদকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন এমন সব কাহিনি, যা দুই দেশের অতীতকে একসূত্রে গেঁথে দেয়। এই সিনেমার পরিচালক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় বিজুকুমার দামোদরন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋতাভরী লিখেছেন, 'আমাদের সিনেমা 'পাপা বুকা' নিউ গিনি থেকে অস্কারের নমিনেশনে যাচ্ছে। আমি পরিচালক বিজুকুমার দামোদরন ইতিহাস তৈরি করেছেন দুই দেশের সম্পর্ককে নিয়ে। আমি উত্তেজিত। এই সিনেমা ভারত আর নিউ গিনি-র মধ্যের সম্পর্ককে তুলে ধরে। দুই দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে এই সিনেমা। স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বছরে দাঁড়িয়ে পাপুয়া নিউগিনি প্রথমবারের মতো অস্কারে পাঠাচ্ছে তাঁদের সিনেমাকে। এই ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র একজন ৮৫ বছর বয়সি বৃদ্ধ ও। এই সিনেমায় ঋতাভরীর চরিত্রের নাম রোমিলা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পাপুয়া নিউ গিনিতে পাড়ি দেন রোমিলার দাদু। সেই খোঁজ করতে এসে রোমিলা মিশে যায় স্থানীয়দের জীবনযাত্রায়। ছবিতে রোমিলা যেভাবে স্থানীয়দের জীবনশৈলীকে চেনে, সেইভাবে ঋতাভরী ও চিনেছেন নতুন দেশকে। ঋতাভরী নিজেও যেন ছবিরই একটা চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন। গল্পের যিনি মুখ্যচরিত্র, পাপাবুকা, তিনিও একেবারে ঋতাভরীর দাদুর মতো হয়ে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় অভিনেতার স্ত্রী ঋতাভরীকে ঝিনুকের মালা উপহার দিয়েছিলেন। ছবিতে পাপুয়া নিউ গিনির ভাষা টক পিসিন, মালয়ালি, বাংলা, হিন্দি ও ইংরাজির ব্যবহার রয়েছে।























