Tunisha Sharma Death: আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে মায়ের সঙ্গে শেষ কী কথা হয়েছিল তুনিশার?
Tunisha Sharma Death Case: একে একে নানা তথ্য উঠে আসছে তুনিশা শর্মার মৃত্যু মামলায়। আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন অভিনেত্রী। কী কথা হয়েছিল সেদিন? জানালেন তুনিশার মা।
মুম্বই: বড়দিনের উৎসবের আগেই মর্মান্তিক নিদ্ধান্ত নেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা (Tunisha Sharma)। ধারাবাহিকের সেটের মেকআপ রুম থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, আত্মঘাতী হয়েছেন অভিনেত্রী (Tunisha Sharma Death)। যদিও অভিনেত্রীর পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রয়াত অভিনেত্রীর সহ-অভিনেতা এবং প্রাক্তন প্রেমিক শিজান খানকে (Sheezan Khan)। একে একে নানা তথ্য উঠে আসছে তুনিশা শর্মার মৃত্যু মামলায়। আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন অভিনেত্রী। কী কথা হয়েছিল সেদিন? জানালেন তুনিশার মা।
আত্মহত্যার কিছুক্ষণ আগে তুনিশার সঙ্গে শেষ কী কথা হয়? জানালেন অভিনেত্রীর মা-
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তুনিশা শর্মার সঙ্গে কথপোকথন সামনে এনেছেন তাঁর মা বিনীতা শর্মা। তিনি জানালেন, লাঞ্চের আগে মেয়ের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। তুনিশা বড়দিনে চণ্ডীগড় যাওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন বলে জানান। তিনি বলছেন, 'ওর সঙ্গে কথা হওয়ার পর সারাটাদিন আমার উদ্বেগের মধ্যে কেটেছে। আমি ওকে নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন ছিলাম। সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না যে, শ্যুটিংয়ের সেটে যাবো নাকি বাড়িতেই থাকব। ভেবেছিলাম একবার একজিকিউটিভ প্রোডিউসরকে ফোন করে তুনিশার শিডিউল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। কিন্তু তারপরই সেট থেকেই ফোন এলো। আমাকে বলা হল যে, তুনিশাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন - Rishabh Pant Car Accident: গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে ঋষভ, ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট ঊর্বশীর
তুনিশা শর্মা মা বিনীতা আরও বলছেন, 'ব্রেকআপের পরও ও (তুনিশা) কাজ করছিল ওখানে। শিজান খানের মা এর সঙ্গে জডিয়ে রয়েছে। শিজানের জন্মদিনে অনেক আয়োজন করেছিল তুনিশা। বাড়ি সাজিয়েছিল। দামী উপহার নিয়ে গিয়েছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না কী হচ্ছে। ও হিজাব পরেছিল। ও ধীরে ধীরে শিজানের ধর্মও নিজের করে নিচ্ছিল। শিজান আর ওর পরিবারের সঙ্গে ক্রমশ যেন বেশি মিশে যাচ্ছিল তুনিশা। আমার মেয়ে আগে কখনও এমন ছিল না। ও (শিজান) জানত আমার মেয়ে অন্য ধর্মের। তুনিশা আমায় বলেছিল যে, শিজানের মা ওকে ফোন করে সমস্যা তৈরি করত। আমি এই নিয়ে শিজানের মায়ের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু তিনি সেকথা মানতে চাননি।'
">