Vijay Varma Unknown Facts: অ্যাকাউন্টে পড়ে মাত্র ১৮ টাকা.. মরিয়া হয়ে ভুল পথে হেঁটেছিলেন বিজয় বর্মাও!
Bollywood Unknown Stories: সম্প্রতি নিজের কেরিয়ারের কঠিন সময় নিয়ে বিভিন্ন গল্প ভাগ করে নিয়েছিলেন বিজয়। কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে পর্যাপ্ত কাজ পেতেন না তিনি।
কলকাতা: একের পর এক সাফল্য এখন বদলে দিয়েছে তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ। 'গালি বয়' থেকে শুরু করে 'দাহাড়', 'লাস্ট স্টোরিজ'... বলিউড তাঁকে কেবল সাফল্য দেয়নি, খুঁজে দিয়েছে প্রেয়সীকেও। একদিকে যেমন কেরিয়ারে সাফল্য পেয়েছেন, প্রশংসিত হয়েছেন তিনি.. তেমনই প্রেমের সম্পর্কেও রয়েছেন তমন্না ভাটিয়া (Tamannaah Bhatia)-র সঙ্গে। তিনি বিজয় বর্মা (Vijay Varma)। তবে একটা সময় এমন গিয়েছে.. যখন তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ে ছিল মাত্র ১৮ টাকা!
সম্প্রতি নিজের কেরিয়ারের কঠিন সময় নিয়ে বিভিন্ন গল্প ভাগ করে নিয়েছিলেন বিজয়। কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে পর্যাপ্ত কাজ পেতেন না তিনি। বলিউডে কোনও খুঁটি না থাকার কারণে, নিজেকে চেনাতেও সময় লেগেছে তাঁর। একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিজয় বলেন, 'এক সময়ে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাত্র ১৮ টাকা ছিল। সেই সময়ে শুধুমাত্র টাকার প্রয়োজনে একটা চরিত্রে রাজি হয়ে যাই। ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, শুধুমাত্র টাকার জন্য কখনও অভিনয় করব না। তবে সেই সময়ের পরিস্থিতি আলাদা ছিল। ১ দিনের শ্যুটিংয়ের জন্য ৩০০০ টাকা পাচ্ছিলাম আর সেটাই ছিল আমার কাছে অনেক।'
বিজয় আরও বলেন, 'চরিত্রটা ছিল একজন সাংবাদিকের। তাও আবার কথা বলতে হবে ইংরাজিতে। টাকার জন্য রাজি হলেও, কাজটি মোটেই ভাল লাগেনি আমার। কাজেই শট দিতে গিয়ে বারে বারে আটকে যাচ্ছিলাম। আমার মন অন্য কোথাও ছিল... কিছুতেই কাজটাকে ভালবেসে করতে পারছিলাম না। এরপরে, সেখান থেকে আমায় বের করে দেওয়া হয়। কাজটা পাইনি। সেইদিনই বুঝতে পারি, টাকার অভাব হলেও মন থেকে না চাইলে অভিনয়টা আমি করতে পারব না।'
এর আগে, নিজের স্ট্রাগলের আরও একটি গল্প তুলে ধরেছিলেন বিজয়। তিনি বলেছিলেন, 'আমি যখন প্রথম কানের রেড কার্পেটে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম, প্রথম দিনের জন্য জারার একটি জ্যাকেট নিয়ে যাই আমি। সেইসময় ওইটুকুই সামর্থ্য ছিল আমার। দ্বিতীয় দিনে আমায় আয়োজকেরা বলেন, কোট পরতেই হবে। তখন আমি অনুরোধ করি, যে কোনও ডিজাইনার যদি আমার জন্য একটি কোট ডিজাইন করে দেন। কিন্তু প্রত্যেকে আমার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কেউ চেনেই না, এমন মানুষের জন্য পোশাক পরিকল্পনা করতে রাজি হননি কেউই। প্রথম দিন আমি জারার যে জ্যাকেটটি পরেছিলাম, সেটাও আমার এক বন্ধুর আমায় উপহার দেওয়া। দ্বিতীয়দিনে বহু কষ্টে আমি একটা tuxedo জোগাড় করি। এভাবেই কেটেছিল আমার প্রথম কান। আমি যখন ছবিগুলো দেখি, সেগুলো গেটি ইমেজ থেকে পাবলিশড হয়েছিল। সেই ছবিগুলোই আমি পাই। কান চলাকালীন, ছবি কেনার মতো সামর্থ্য ছিল না আমার। প্রথমবার এই ধরনের অনুষ্ঠানে পা রেখেছিলাম সেবার। তবুও অশোভন কোনও কাজ করিনি।'