এক্সপ্লোর
Advertisement
মুজফ্ফপুরের ঘটনা ‘ভয়াবহ’, দেশের যত্রতত্র মহিলা ধর্ষণ চলছে, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলল সুপ্রিম কোর্ট
নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে ধর্ষণের ঘটনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের যত্রতত্র মেয়ে ও মহিলারা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য উল্লেখ করে এই মন্তব্য করেছে সর্বোচ্চ আদালত। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)-র তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন এ ধরনের চারটি ঘটনা ঘটছে। এই তথ্য উল্লেখ করে আদালত এ ধরনের ঘটনা মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে। বিহারের মুজাফ্ফরপুরে এনজিও পরিচালিত হোমে মেয়েদের যৌন নিগ্রহের অভিযোগের ঘটনাকে ভয়াবহ আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই না করে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলিকে অর্থ সাহায্য দেওয়ায় বিহার সরকারকে একহাত নিয়েছে আদালত।
বিচারপতি মদন পি লোকুরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দেশের বিভিন্ন হোমে নাবালিকাদের যৌন নিগ্রহ প্রতিরোধের জন্য প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে।
বিচারপতি মদন বি লোকুর ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি কে এম জোসেফ। বেঞ্চ বলেছে, ‘কী করা যেতে পারে? দেশের যত্রতত্র ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন মেয়ে ও মহিলারা। এনসিআরবি-র তথ্য অনুয়ায়ী, ২০১৬-কে ৩৮,৯৪৭ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর অর্থ, প্রতিদিন চারজন করে মহিলা এই অপরাধের শিকার হয়েছেন। পরিসংখ্যানে এগুলি উল্লেখ করা হয়েছে’।
পটনার এক ব্যক্তির লেখা চিঠির ভিত্তিতে বিহারের ঘটনা সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে শুনানির জন্য গ্রহণ করে। এই মামলায় গত ২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল যে, মুজাফ্ফরপুরের ঘটনার তদন্ত পেশাদার কাউন্সেলর বা যোগ্য শিশু মনস্তাস্তিকদের সহায়তাকে করতে হবে। ওই কাউন্সেলর ও মনস্তাস্তিকদের বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইন্সস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস, টাটা ইন্সস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস এবং দিল্লির এইমসের সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়োগ করতে হবে।
এদিনের শুনানিতে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার শেল্টার হোমে মেয়েদের যৌন নিগ্রহের অভিযোগ এবং তাদের মধ্যপ্রদেশে প্রকাশ্যে বিক্রয়ের অভিযোগের প্রসঙ্গও উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এনসিআরবি-র তথ্য অনুযায়ী, এই দুটি রাজ্য থেকেই ধর্ষণের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি আসে।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। এ ধরনের ঘটনা মোবাবিলায় কাউকে না কাউকে ব্যবস্থা নিতে হবে। ভারতে প্রতি ছয় ঘন্টায় একজন ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ আগস্ট।
সুপ্রিম কোর্ট এনজিও পরিচালিত শেল্টার হোমগুলি দৈনন্দিন ভিত্তিতে যথাযথ পর্যালোচনা ও মুজফ্ফরপুরের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাবও দিয়েছে।
আদালত বলেছে, এ ধরনের শেল্টার হোমগুলি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা দরকার। এ সংক্রান্ত বিষয়ে ইউনিসেফের গবেষণাগুলি সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
বিনোদনের (Entertainment) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement