Fact Check : জওয়ানদের লাশ উদ্ধারে LOC-তে সাদা পতাকা দেখিয়েছিল পাকিস্তানই ! ভাইরাল ভিডিওর ফ্যাক্ট চেকে যা উঠে এল...
Operation Sindoor : 'অপারেশন সিঁদুর'-এর পর বেশ চাপে পাক সরকার।

নয়াদিল্লি : একের পর এক মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে পাকিস্তান। 'অপারেশন সিঁদুর'-এর পর বেশ চাপে পাক সরকার। ভারতের প্রত্যাঘাতের পর প্রাথমিকভাবে হম্বিতম্বি করলেও, পরে ভয়ে পিছু হঠে তারা। ভারত প্রত্যাঘাত বন্ধ করলে, পাকিস্তানও গন্ডগোল মিটিয়ে নিতে তৈরি বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পাক সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। এই আবহে সীমান্তের ওপার থেকে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হচ্ছে একটি ভিডিও। যার ফ্যাক্ট চেক রেজাল্ট উঠে আসছে সম্পূর্ণ আলাদা।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে পাকিস্তান সেনাকে নিয়ন্ত্রণরেখায় সাদা পতাকা তুলতে দেখা গিয়েছিল। পাকিস্তান তাদের জওয়ানদের দেহ উদ্ধারের জন্য সাদা পতাকা দেখায়। কিন্তু, সেই ভিডিও মিথ্যা দাবি করে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছে পাকিস্তানের একাধিক ব্যবহারকারী। তাতে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় সেনা তাদের জওয়ানদের দেহ উদ্ধারের জন্য নিয়ন্ত্রণরেখায় সাদা পতাকা দেখাচ্ছে। যদিও এই দাবি সর্বৈব মিথ্যা বলে উঠে এসেছে ফ্যাক্ট চেকে।
এদিকে 'অপারেশন সিঁদুর'-এর পর জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গ্রামগুলিকে টার্গেট করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সমানে কামান থেকে গোলাবর্ষণ ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে ওপ্রান্ত থেকে। যার জেরে ইতিমধ্যেই উপত্যকায় চার শিশু-সহ অন্ততপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও কয়েক জন। সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রের খবর।
পহেলগাঁও হামলার জোরদার জবাব দিয়েছে ভারত। ২৬ জন নিরীহের প্রাণের বিনিময়ে 'অপারেশন সিঁদুর' চালিয়ে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েছে ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী। মধ্যরাতে ক্ষেপণাস্ত্র হানায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ঘাঁটিগুলি। তার পর থেকে সীমান্তে ভারী শেল নিক্ষেপ করে যাচ্ছে পাক বাহিনী। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও। যার জেরে শত্রুপক্ষেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তানের একাধিক সেনা পোস্ট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের হামলায় সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে পুঞ্চ জেলায়। যেখানে নিহতরা সকলেই সাধারণ নাগরিক। এমনই জানিয়েছেন আধিকারিকরা। তাঁদের সংযোজন, ওই এলাকায় গোলাগুলিতে ৪২ জন জখমও হয়েছেন। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এদিকে পাকিস্তান এভাবে নির্বিচারে গোলাগুলি চালানোয় সীমান্তবর্তী গ্রামে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যাঁরা বাধ্য হয়ে ভূতল বাঙ্কারে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বা, কেউ কেউ অন্য কোনও নিরাপদ আশ্রয় বা অন্য গ্রামে গিয়ে মাথা গুঁজছেন, এমনই জানাচ্ছেন আধিকারিকরা।






















