Fact Check: স্থূলতা কমাতে সিগারেটের মতো সিঙাড়া-জিলিপি-লাড্ডুর প্যাকেটেও সতর্কবার্তা? খবরের সত্যতা জানাল কেন্দ্র
Label on Samosa-Jalebi: PIB-র তরফে প্রথমে খবরের সত্যতা অস্বীকার করা হয় মঙ্গলবার। এর পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফেও অবস্থান বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

নয়াদিল্লি: তামাকসেবনের সঙ্গে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি জড়িয়ে। তাই সিগারেটের প্যাকেটের উপর ছবি-সহ সতর্কবার্তা থাকা বাধ্যতামূলক হয়েছে। একই ভাবে স্থূলতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে সিঙাড়া, জিলিপি, লাড্ডুর প্যাকেটের উপরও সতর্কবার্তা বাধ্যতামূলক হতে চলেছে বলে খবর ছড়িয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সেই জল্পনা খারিজ করা হল। (Fact Check)
PIB-র তরফে প্রথমে খবরের সত্যতা অস্বীকার করা হয় মঙ্গলবার। এর পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফেও অবস্থান বুঝিয়ে দেওয়া হয়। জানানো হয়েছে, সিগারেটের মতো সিঙাড়া, জিলিপি বা লাড্ডুর প্যাকেটে কোনও ‘ওয়ার্নিং লেবেল’ বা সতর্কবার্তা বসানো হচ্ছে না। এ নিয়ে যে খবর ছড়িয়েছে, তা অসত্য। নিজের শরীরের কথা মাথায় রেখে বরং পরিমিত সিঙাড়া, জিলিপি, লাড্ডু খান সাধারণ মানুষ। (Label on Samosa-Jalebi)
সিঙাড়া, জিলিপি ও লাড্ডুর মতো ভারতীয় স্ন্যাক্স কতটা স্বাস্থ্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন আজকের নয়। দেশে স্থূলতাবৃদ্ধির জন্যও এই ধরনের স্ন্যাক্সকে কাঠগড়ায় তোলেন অনেকে। সেই আবহেই সম্প্রতি খবর ছড়ায় যে, সিগারেটের মতো এই সব স্ন্যাক্সের প্যাকেটের উপরও সতর্কবার্তা বাধ্যতামূলক হতে পারে, যাতে সেসব খাওয়া থেকে বিরত থাকেন মানুষ।
Some media reports claim that the @MoHFW_INDIA has issued a health warning on food products such as samosas, jalebi, and laddoo.#PIBFactCheck
— PIB Fact Check (@PIBFactCheck) July 15, 2025
✅This claim is #fake
✅The advisory of the Union Health Ministry does not carry any warning labels on food products sold by vendors,… pic.twitter.com/brZBGeAgzs
সেই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই মঙ্গলবার PIB খবরের সত্যতা যাচাইয়ে নামে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখে, ‘ভারতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্র সিঙাড়া, জিলিপি ও লাড্ডুর প্যাকেটে সতর্কবার্তা লেখার নির্দেশ দিয়েছে বলে যে দাবি ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, তা অসত্য। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় কোনও ভারতীয় স্ন্যাক্সের উপর এমন সতর্কবার্তা লেখার উল্লেখ নেই’।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে কর্মক্ষেত্রে তেল ও চিনি খাওয়া নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করতে বলা হয়েছে, যাতে মানুষের খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর হয়। অতিরিক্ত ফ্যাট ও চিনি যুক্ত খাবার নিয়ে সতর্কতা জারিই এর উদ্দেশ্য। বেছে বেছে কিছু খাবারের উপর সতর্কবার্তা ব্যবহারের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ভারতীয় স্ন্যাক্স বা স্ট্রিটফুড সংস্কৃতিকে নিশানা করে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
#HealthForAll
— Ministry of Health (@MoHFW_INDIA) July 15, 2025
Advisory issued by Union Health Ministry to display Oil and Sugar Boards in workplaces is an initiative to promote healthier dietary habits
These Boards serve as behavioural nudges regarding hidden fats and excess sugar in various food products
The Advisory does… pic.twitter.com/UleZY8eGVj
চিকিৎসকরা রান্নায় কম তেল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে আসছেন অনেক আগে থেকেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একাধিক বার সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন। কিন্তু বেছে বেছে কোনও খাবার না খাওয়ার কথা বলা হয়নি সরকারের কোনও নির্দেশিকায়। বরং সম্প্রতি সরকারি নির্দেশিকায় সাধারণ মানুষকে লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। হালকা কসরতের জন্য় অফিস চলাকালীনই কিছুক্ষণ বিরতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেশি তেল, চিনি খাওয়া থেকে বিরত থাকতেও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে, এ নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে পারলে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বিটিসের মতো রোগকে হারানো সম্ভব।























