ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজ-২০০০ ও সুখোই-৩০ এমকেআই অতীতে উত্তরপ্রদেশের হাইওয়েতে অবতরণ করেছিল। ২০১৫ সালে দিল্লির কাছে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে অবতরণ করেছিল মিরাজ-২০০০। ২০১৬ সালে লখনউ-আগরা এক্সপ্রেসওয়েতে অবতরণ করেছিল সুখোই-৩০ এমকেআই বিমান।
2/8
প্রসঙ্গত, অতীতেও নিজস্ব বায়ুঘাঁটির বাইরে অপ্রচলিত জায়গায় যুদ্ধবিমানের অবতরণ ও উড়ানের মহড়া চালিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দেশের প্রায় ডজনখানেক হাইওয়েকে এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এর জন্য ওই হাইওয়েগুলিকে বিশেষভাবে নির্মাণ করাও হয়। যাতে সেগুলির ওপর যুদ্ধবিমান অবতরণ করতে পারে।
3/8
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, দেশের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত আসামরিক বিমানবন্দরগুলিতে যে ভাবে মহড়া শুরু হয়েছে, তাতে একটা কথা পরিষ্কার। তা হল, এই মহড়া, চিনের কথা মাথায় রেখেই। বিশেষ করে, চিন সীমান্ত লাগোয়া উত্তর-পূর্বের চারটি রাজ্যের অসামরিক বিমানবন্দরগুলিতে এই মহড়া হবে। ফলত, বিষয়টা পরিষ্কার। ভবিষ্যতে চিনা আগ্রাসনের সময় যে কোনও বিমানবন্দর থেকে যাতে ভারতীয় বায়ুসেনা যাতে তার যুদ্ধবিমানগুলিকে অপারেট করতে পারে, সেই জন্য একটা প্রস্তুতি সেরে রাখা।
4/8
অসামরিক বিমান পরিবহণের এটিসি-র সঙ্গে সামরিক এটিসি-র সঙ্কেতের ফারাক থাকে। আচমকা কোনও জরুরি বা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে অসামরিক বিমান পরিবহণের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, এই মহড়ার মাধ্যমে তাঁদেরও যুদ্ধ বিমান অবতরণ এবং সামরিক অভিযানের সঙ্গে পরিচিত করায় ভারতীয় বায়ুসেনা।
5/8
এই মহড়ার মূল লক্ষ্য হল যুদ্ধ বা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অসামরিক বিমানবন্দরগুলিকে সামরিক কাজে ব্যবহার করা। ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলিতে কীভাবে যুদ্ধ বিমান অবতরণ করানো সম্ভব হবে, তারই মহড়া করে ভারতীয় বায়ুসেনা।
6/8
মহড়াটি দুটি পর্যায়ে হবে। প্রথম পর্যায়টি হবে ১৬-১৯ অক্টোবর। দ্বিতীয়টি হবে ২৯ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর। মহড়ায় অংশ নেবে সুখোই-৩০ এমকেআই ও অ্যাডভান্সড জেট ট্রেনার হক ১৩২ যুদ্ধবিমান। কলকাতা বিমানবন্দরের মহড়াটি প্রথম পর্যায়ের অন্তর্গত। দ্বিতীয় পর্যায়ে অন্ডালে এই মহড়া হবে। কলকাতা বিমানবন্দরে এদিনের মহড়ায় ভারতীয় বায়ুসেনার ৩টি অত্যাধুনিক সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান অংশ নেয় মহড়ায়।
7/8
ভারতীয় বায়ুসেনার পূর্বাঞ্চলীয় এয়ার কমান্ডের তত্ত্বাবধানে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই মহড়া পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের ৬টি বিমানবন্দরে হবে। কলকাতা ছাড়া যে বিমানবন্দরগুলিতে এই মহড়া হবে সেগুলি হল -- পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল, নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর, মণিপুরের ইম্ফল, অসমের গুয়াহাটি ও অরুণাচল প্রদেশের পাসিঘাট।
8/8
ভবিষ্যতে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে দেশের লড়াকু বিমানের উড়ান ও অবতরণের জন্য কতটা প্রস্তুত অসামরিক বিমানবন্দরগুলি, সেই লক্ষ্যেই অভিনব মহড়া শুরু করল ভারতীয় বায়ুসেনা। যার সূত্রপাত হল কলকাতা বিমানবন্দরে।