Insomnia: রাতে কিছুতেই ঘুম আসে না, আজই বদলে ফেলুন এই অভ্যাসগুলো
Sleep: বিছানায় শুয়ে শুধুই এপাশ ওপাশ? হাজার চেষ্টাতেও ঘুম আসছে না? তাহলে অবশ্যই এই কয়েকটি অভ্যাস বদলে ফেলুন
কলকাতা: দিনে একজন সুস্থ মানুষের অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। তবে বর্তমানে লাইস্টাইলের কারণে অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভুগে থাকেন। সারাদিনের কাজের চাপ, খাবারের অনিয়ম ইত্যাদি একাধিক কারণে ঘুমের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। আবার ঘুমের সমস্যা মানেই তার থেকে শুরু একাধিক শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা। তবে এই বিষয়টি এখনও যদি গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে না থাকে সে ক্ষেত্রে জীবনযাপনে সামান্য বদল আনলেই অনিদ্রার সমস্যা কেটে যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ঘুমের সমস্যার সমাধান করবেন।
খাদ্যাভ্যাসে নজর: প্রথমেই নজর দিতে হবে খাদ্যাভ্যাসে। আমরা সারাদিন কী কী খাচ্ছি তার সঙ্গে আমার শরীরের বিভিন্ন দিক নির্ভর করে। রোজকার ডায়েট থেকে অতিরিক্ত ভাজাভুজি, তেল, ফাস্টফুড, চিনি জাতীয় খাবার বাদ দিন। পাশাপাশি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। প্রোবায়োটিক অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
ক্যাফিনে কাটছাট: ক্যাফিনের মাত্রা কমান। সারাদিনের অনেকেই বারবার চা কফি খেয়ে থাকেন। ক্যাফিন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে অনিদ্রার সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। কাজেই সারাদিনে যতটা সম্ভব চা-কফি কম পান করুন। সকালে পান করলেও, সন্ধের পর চা-কফি পান করবেন না।
যোগব্যায়াম: সকাল সকাল বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি রোজ সকালে যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম বা মেডিট্রেশন করুন। খোলা আকাশের নিচে রোজ অন্তত ১০ মিনিট চুপ করে বসুন। স্ট্রেচিং অভ্যাস করুন। এতে শরীরের মাসলগুলো রিল্যাক্স হবে এবং রাতে ঘুম আসবে সহজে।
রাতের খাওয়া সেরে নিন: শুতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া সেরে ফেলুন। এর পর খানিক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে তারপর ঘুমোতে যান। আর শুতে যাওয়ার আগে অবশ্যেই হাত-পা-মুখ পরিস্কার করে ধুয়ে নিন। অবশ্যই সুতির জামা-কাপড় পরে ঘুমাতে যান।
ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট দূরে রাখুন: ঘুমানোর ১ ঘণ্টা আগে সমস্ত ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট যেমন ফোন, ল্যাপটপ, ট্য়াব ইত্যাদি বন্ধ করে দূরে সরিয়ে দিন। দীর্ঘসময়ে ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটের মধ্যে ডুবে থাকলে অনিদ্রার সমস্যা বাড়বে। এর পরিবর্তে বই পড়তে পারে। তবে মানসিক চাপ বাড়ায় এমন কোনও বই না পড়াই ভাল। লেখালেখির অভ্যাস থাকলে তাও করতে পারেন। সারাদিনের ভাল-খারাপ সমস্ত মুহূর্তগুলো একটা খাতায় লিখে তা বন্দি করে রাখতে পারেন।
ঘর সাজিয়ে রাখুন: রাতে ঘুমানোর আগে আপনার শোয়ার ঘরটি ঘুমের উপযুক্ত করে তুলুন। হালকা সুগন্ধি ছড়িয়ে দিতে পারেন। এখন বাজার চলতি কেমিক্যাল ফ্রি প্রচুর মোমবাতি পাওয়া যায়। ঘুমের আগে সেগুলো জ্বালিয়ে দিতে পারেন। হালকা গান আমাদের মস্তিষ্ককে রিল্যাক্স করে। তাই হালকা গান চালিয়েও শুতে যেতে পারেন।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )