Health News: শিশুস্বাস্থ্য পরিষেবার বড় জয় ! কোভিডে শিশুমৃত্যু কমেছে বলে জানাল ল্যানসেট

Child Mortality Rate During Covid: কোভিডকালে মানুষের গড় আয়ু কমেছে। কিন্তু তার পরেও বড় জয় পেয়েছে শিশুস্বাস্থ্য পরিষেবা।

(ছবি সৌজন্য - ফ্রিপিক)

কলকাতা: সারা বিশ্বের কাছেই ত্রাস হয়ে উঠেছিল কোভিড মহামারি। একের পর এক স্বজন হারানোর যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে মানুষকে। একটানা আড়াই থেকে তিন বছর এর জের সহ্য করতে হয়েছে। কোভিডের প্রভাব পড়েছে বিশ্বের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য থেকে সমাজসহ নানা দিকের উপর। কোভিডের সেই ত্রাস চলে গেলেও মানুষের শরীরে স্থায়ী ছাপ ফেলে গিয়েছে এই অতিমারি‌‌। কোভিডের জেরে মানুষের আয়ুও কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।  কিন্তু কতটা ? সম্প্রতি ল্যানসেটের এক গবেষণায় জানা গেল সেই তথ্য। দেখা গেল কোভিডকালে মানুষের গড় আয়ু কমেছে অনেকটাই।

কতটা কমেছে মানুষের গড় আয়ু ?

ল্যানসেটের ওই গবেষণা মোতাবেক, মানুষের গড় আয়ু কমেছে ১.৬ বছর।‌ অর্থাৎ পাঠারো মাসের কিছু বেশি। গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডির ওই গবেষণায় ২০২১ সালছর রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের আগে ছবিটা অবশ্য অন্যরকম ছিল বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। আগের বছরগুলোর পরিসংখ্যান বলছে মানুষের গড় আয়ুর বাড়ছিল প্রতি বছর। কিন্তু কোভিডের দুই বছরে সব ওলটপালট হয়ে যায়। গড় আয়ু কমে যায় ১.৬ বছর।

রয়েছে ভাল খবরও 

তবে এর পাশাপাশি ভাল খবরও রয়েছে।  গবেষকদের কথায়, কোভিডের সময় সব মিলিয়ে মানুষের গড় আয়ু কমেছে ঠিকই। কিন্তু শিশুমৃত্যুর হার এই সময় কমেছে। ২০১৯ ও ২০২১ সালের মধ্যে তুলনা করলে দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালে পাঁচ বছরের কমবয়সীদের মৃত্যু কমেছে ৫ লাখ। সাত শতাংশ কমেছে মৃত্যুর হার। যা কোভিডের মতো কঠিন সময়ে শিশুস্বাস্থ্য পরিষেবার কাছে একটি বড় জয়। 

কী বলছেন গবেষক ?

ইনস্টিটিউট অব হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড এভালুয়েশনের অধ্যাপক তথা এই গবেষণার অন্যতম গবেষক অস্টিন এ শুমাচের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রাপ্তবয়স্কদের উপর কোভিডের প্রভাব অনেক বেশি। যা গত ৫০ বছরেও দেখা যায়নি। 

গত সাত দশকের ছবি কেমন ?

গোড়া থেকেই বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কারে উপকৃত হয়েছেস্বাস্থ্য পরিষেবা। মানুষের মৃত্যুর হার কমেছে। বেড়েছে গড় আয়ু। ১৯৫২ সাল থেকে মানুষের গড় আয়ু বাড়াতে বিজ্ঞানের সমস্ত পরিশ্রমকে ব্যর্থ করতে পারেনি কোভিড। গবেষকরা জানাচ্ছেন, গত সাত দশকে  ২৩ বছর  বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু। সেই তুলনায় ওই দুই বছরে কমেছে মাত্র ১.৬ বছর।