(Source: Poll of Polls)
E-cigarettes Effects: ই-সিগারেট টানছে ? খাওয়ার পর শরীরে কী কী বদল আসবে জানেন ?
E-cigarettes Effects On Health: ই-সিগারেট এখন অনেকেরই নেশার দ্রব্য। এর প্রভাবের দিকটি হয়তো অনেকেরই অজানা।
কলকাতা: এখন সবকিছুতেই প্রযুক্তির ছোঁয়া। তেমনই ছোঁয়া পেয়েছে সিগারেটও। সিগারেটের বদলে গুরুত্ব পাচ্ছে ই-সিগারেট। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এই বিশেষ সিগারেটের দিকে ঝুঁকছেন। এটি সিগারেটের থেকে কম ক্ষতিকর না বেশি (E-cigarettes Effects On Health)? এটি অনেকেরই হয়তো অজানা। বিশেষজ্ঞদের মতামত কী এই বিষয়ে? জেনে নেওয়া যাক।
বেশি নিকোটিন: ই-সিগারেটে নিকোটিনের পরিমাণ কম নয়। বরং সাধারণ সিগারেটের থেকে বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি টানে নিকোটিন ইনটেকের হারও বেশ অনেকটা এই ধরণের সিগারেটে।
ফুসফুসের বিপুল ক্ষতি: অনেকের ধারণা ই-সিগারেট সেভাবে ফুসফুসের ক্ষতি করে না। বরং এই ধরনের ডিভাইস দিয়ে স্মোক করলে নাকি শরীর কম খারাপ হয়। আদতে কিন্তু উল্টোটাই। ফুসফুসের গুরুতর ক্ষতি করে (E-cigarettes harmful effects on lungs) ই-সিগারেটের উপকরণ। কারণ এর মধ্যে নিকোটিন ছাড়াও ডাইঅ্যাসিটাইল থাকে।
পরিবেশেরও সমান ক্ষতি: যারা এই সিগারেটের তারা শুধু নিজের ক্ষতি করেন না। একই সঙ্গে বিপদ ঘটান অন্যদের। পরিবেশে দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ই-সিগারেটের উপকরণ। এর মধ্যে ২.৫-এর থেকে ছোট পার্টিকুলেট ম্যাটার থাকে। যা পরিবেশের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। একইসঙ্গে ফুসফুসের স্থায়ী ক্ষতি করে এটি।
রক্তনালি ও হার্টের জন্য বিপজ্জনক: চিকিৎসকদের কথায় ই-সিগারেটের উপাদান ফুসফুসের পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়ে রক্তনালিতে। নিয়মাত যারা ই-সিগারেট খান, তাদের রক্তনালি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় (E-cigarettes harmful effects on heart)। যার থেকে পরবর্তীকালে হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে এমনটাই।
মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি: ধূমপান যারা করেন, তাদের অধিকাংশই মনমেজাজ ভাল করতে এগুলি খান। কিন্তু ই-সিগারেট তার বদলে উল্টো কাজ করে। এটির জেরে দ্রুত মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। একাধিক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত ই-সিগারেট সেবনের কারণে দুশ্চিন্তা ও মানসিক অবসাদ বাড়তে থাকে।
গর্ভবতীদের জন্য বিপদ: গর্ভবতীদের ধূমপান করতে মানা করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অনেকেই এর বিকল্প হিসেবে ই-সিগারেট বেছে নেন। এতে বিপদের ঝুঁকি কমে না, বরং বাড়ে। নিজের পাশাপাশি শিশুর গুরুতর ক্ষতি হতে পারে।
কগনিটিভ কর্মক্ষমতা কমতে থাকে: মস্তিষ্কের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলে ই-সিগারেট। যার দরুণ কগনিটিভ কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। এমনকি নিজেকে উত্তেজিত অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন - Laziness Remedies: আলস্য কাটবে নিমেষে ! মাথায় রাখুন ৪ টিপস
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )