Health Update: টানা বসে কাজ? কাঁধে-পিঠে অসহ্য ব্যথা? সহজেই মিলবে সুরাহা
Pain Relief: ঘাড়ে, কাঁধে, পিঠে ব্যথা হয়। অনেকের পিঠের নীচের অংশে বা কোমরেও অসহ্য যন্ত্রণা হয়। তবে আগে সতর্ক হলে এড়ানো যেতে পারে এই সমস্যা।
কলকাতা: স্ট্রেস এবং হাইপারটেনশন (Hypertension)। সাম্প্রতিক কালে এই দুটি শব্দ চেনা হয়ে গিয়েছে প্রায় সব ঘরেই। জীবনযাপনের প্রয়োজনেই দিনভর ব্য়স্ত থাকতে হয় কাজে। তার জন্য অনেককেই দিনের অনেকটা সময় ডেস্কে বসে কাজ করতে হয়। কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে ঘাড় গুঁজে বসে থাকতে হয়। কোভিডকালে বেড়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা। সেখানেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে থাকে। সবার বাড়িতে সেই অর্থে কাজের জায়গা (Work Station) থাকে না। অনেকসময়েই বিছানায় বা সোফায় বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে হয়। আর এসবের হাত ধরেই চেনা হয়েছে আরও একটি শব্দ স্পন্ডিলাইটিস (spondylitis)। সেই বিষয়ে না ঢুকেই বলা যায় যে এইভাবে কাজ করার জন্য অনেকেই তীব্র ব্যথায় ভোগেন।
কোথায় ব্যথা:
ঘাড়ে, কাঁধে, পিঠে ব্যথা (Back Pain) হয়। অনেকের পিঠের নীচের অংশে বা কোমরেও অসহ্য যন্ত্রণা হয়। অনেক সময় কাঁধ থেকে হাতে বা কোমর থেকে পায়েও যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়ে।
কাজ প্রয়োজনীয়। তা ছাড়া যাবে না। ফলে অন্য উপায়ে মিলবে ব্যথা থেকে মুক্তি। প্রথমত এমন ব্যথা হলেই দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। তবে তার আগে নিজেই কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। আর যাঁদের এই ব্যথা এখনও হয়নি, তাঁরাও আগে থেকে সতর্ক হতে পারেন।
মাঝে মাঝে ব্রেক:
দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করতে হলেও মাঝে মাঝে সময় বের করতে হবে। অন্তত দুই-তিন মিনিটের জন্য উঠে সামান্য পায়চারি (Walking) করে নিতে হবে। তাতে ব্য়থা দূরে থাকতে পারে। তাছাড়া, টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকিও বহুগুণে বেড়ে যায়।
চেয়ারে নজর:
কোথায় বসে কাজ করছেন সেটা দেখা খুব প্রয়োজনীয়। পিঠ সিধে রেখে বসা যায় এমন চেয়ার (Chair) ভাল। তবে কাজের জায়গায় সবসময় পছন্দমতো চেয়ার পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে নিজেই বসার ভঙ্গির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। পিঠ কুঁজো হয়ে আছে এমন ভঙ্গিতে দীর্ঘক্ষণ বসা যাবে না।
ভারী জিনিসে না:
কাঁধে (Shoulder) বা ঘাড়ে (Neck) ব্যথা হলে ভারী জিনিস নিয়ে বেশি হাঁটাচলা না করাই ভাল। ভারী ল্যাপটপ ব্য়াগ নিয়ে চলাফেরা করলে ব্যথা হতে পারে। প্রতিদিনই এক কাঁধে ভারী ব্যাগ না নেওয়াই ভাল। দুই কাঁধে ঝুলিয়ে নিলে চাপ কম পড়ে। সেই কাঁধে ব্য়থা, কয়েকদিন তাতে ভারী জিনিস নেওয়া উচিত নয়।
বালিশেও নজর:
শোওয়ার সময়েও খেয়াল রাখতে হবে। বালিশ শক্ত নাকি আরাম কীভাবে আরাম হচ্ছে। ঘুমোনোর (Sleeping) সময় ঘাড় বেঁকে যাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে পারলে ভাল। কোন বিছানায়, কোন ভঙ্গিমায় শুলে পরেরদিন ঘুম থেকে উঠে ব্যথা হচ্ছে না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিয়মিত হালকা ব্যয়াম:
ব্যথা (Pain) কমাতে প্রতিদিন শরীরচর্চার (Exercise) কোনও বিকল্প নেই। সাঁতার হোক বা যোগব্যায়াম- অথবা নিয়মিত হাঁটা। এগুলো করলে সুরাহা মিলতে পারে ব্যথা থেকে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: রান্নায় শোভা বাড়ায়, পুষ্টিগুণেও চমক দেয় এই আনাজ
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )