Hair Oil: গরমের মরসুমে কোন কোন তেল দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারবেন? কী কী সমস্যা দূর হবে?
Hair Care Tips: গরমের দিনেও শ্যাম্পু করার আগে নিশ্চিন্তে চুলে তেল ম্যাসাজ করতে পারবেন। গরমের মরসুমে কোন কোন তেল দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারবেন, একনজরে সেটা দেখে নিন।
Hair Oil: গরমকালে অনেকেই চুলে তেল ম্যাসাজ (Hair Oil Massage) করার আগে দু'বার ভাবেন। এমন ধারণা অনেকেরই রয়েছে যে গরমের মরসুমে চুলে তেল দিলে মাথার তালু এবং চুল আরও চিটচিটে হয়ে যাবে (Hair Care Tips)। তবে বিষয়টা তেমন নয়। গরমের দিনেও শ্যাম্পু করার আগে নিশ্চিন্তে চুলে তেল ম্যাসাজ করতে পারবেন। গরমের মরসুমে কোন কোন তেল দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারবেন, একনজরে সেটা দেখে নিন।
আমন্ড অয়েল- চুলের ক্ষেত্রে মূলত চুল পড়ার পাশাপাশি চুলের গঠন খারাপ হয়ে যাওয়া, ডগা ফেটে যাওয়া, চুল পাতলা, রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া এইসব সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। আমন্ড অয়েলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই। এই তেল নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়াও দ্রুতহারে চুল বাড়তে, চুলের ডগা ফাটার সমস্যা দূর করতেও কাজে লাগে। এর পাশাপাশি চুলের লালচে ভাব, রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যাও কমায়। চুলের গঠন সুদৃঢ় করে। হেয়ার ফলিকল ভাল রাখে।
জোজোবা অয়েল- এই তেল দিয়েও গরমের দিনে চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন। দুর্বল চুলের ক্ষেত্রে এই তেল দারুণ ভাবে কাজে লাগে। জোজোবা তেলের মধ্যে রয়েছে oleic ও behenic অ্যাসিড রয়েছে। এই দুই উপকরণ চুলের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করে। হেয়ার ফলিকলের গঠন শক্ত করে। ফলে সহজে চুল ঝরে যায় না। চুলের গোড়া শক্ত করতেও কাজে লাগে এই জোজোবা অয়েল। এছাড়াও ভঙ্গুর চুলের সমস্যা দূর করে এই তেল।
নারকেল তেল- সারাবছরই নারকেল তেল দিয়ে চুলের যত্ন করা সম্ভব। চুলে ম্যাসাজের জন্য এই তেল সবচেয়ে ভাল। নারকেল তেলে রয়েছে ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড যা খুশকির সমস্যা দূর করে। এছাড়াও চুল বৃদ্ধিতে, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে নারকেল তেল। আপনার মাথার তালু বা স্ক্যাল্প খুব শুষ্ক থাকলে সেই সমস্যাও দূর করে এই তেল।
অলিভ অয়েল- এই তেল শুধু বডি অয়েল হিসেবেই ব্যবহার হয় না। ভোজ্য তেল হিসেবেও অলিভ অয়েলের ব্যবহার রয়েছে। এর পাশাপাশি চুলের যত্নেও ব্যবহার করা যায় অলিভ অয়েল। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ রয়েছে এই তেলের মধ্যে। তার ফলে এই তেল দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করলে স্ক্যাল্পের একাধিক সমস্যা দূর হয়। যেমন- র্যাম, চুলকানি, রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর হয়। এছাড়াও চুলের গোড়া শক্ত করতে, নতুন চুল গজাতে, চুলের বৃদ্ধিতেও কাজে লাগে অলিভ অয়েল।
অ্যাভোকাডো অয়েল- এই তেল দিয়েও চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন। একাধিক ভিটামিন (এ, বি, ডি, ই) রয়েছে অ্যাভোকাডো অয়েলের মধ্যে। অনেকেরই দেখা যায় চুল মাঝখান থেকে ভেঙে যায়। এর পাশাপাশি থাকে ডগা ফাটার সমস্যা। অ্যাভোকাডো অয়েল এই ভঙ্গুর চুলের সমস্যা দূরে করে এবং সবদিক থেকেই চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য কী কী খেতে পারেন? রইল তারই তালিকা