Healthy Lifestyle: চুলে পুষ্টি জোগাবে নিরামিষ খাবার, মেনুতে রাখতে পারেন এই ৫টি খাবার
Hair Care: চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কাজে লাগে পালং শাক। আর কী কী নিরামিষ উপকরণ চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
Healthy Lifestyle: চুলের স্বাস্থ্য (Hair Care Tips) ভাল রাখার অর্থ হল চুলের গোড়া মজবুত করা। এর পাশাপাশি চুল পড়ার সমস্যা (Hair Problems), চুলের রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করা। এছাড়াও রয়েছে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার সমসা বা স্প্লিট এন্ডস। অনেকের চুল আবার মাঝখান থেকে ভেঙে যায় অর্থাৎ ভঙ্গুর প্রকৃতির। কারও বা চুল লম্বায় একদম বাড়তে চায় না। এছাড়াও থাকে মাথার তালু বা স্ক্যাল্পের সমস্যা। এইসব অসুবিধা দূর করে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে হলে সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করা প্রয়োজন।
কী কী খাবেন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক
আমন্ড ও আখরোট- শুধু আমিষ খেলেই চুল ভাল হয় না বা সব সমস্যা দূর হয় না। অনেক নিরামিষ খাবার রয়েছে যেগুলি চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। তার মধ্যে অন্যতম হল আমন্ড এবং আখরোট। এই দু'ধরনের বাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি এবং গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুল মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
কুমড়োর বীজ- এর মধ্যে রয়েছে অনেক গুণ। চুলের অনেক সমস্যা দূর করতে পারেন কুমড়োর বীজ। বিভিন্ন নিরামিষ তরকারি বা পদের মধ্যে কুমড়োর বীজ দেওয়ার চল রয়েছে। কুমোড়োর বীজের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, বায়োটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সবকটি উপকরণই চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চুলের বৃদ্ধিতে এই উপকরণগুলি সাহায্য করে।
মিষ্টি আলু- অনেকেরই নানা কারণে এমনি আলু খাওয়া বারণ থাকে। সেক্ষেত্রে পরিবর্ত হিসেবে মিষ্টি আলু ব্যবহার করতে পারেন। এই সবজির মধ্যে রয়েছে একাধিক গুণ। কীভাবে মিষ্টি আলু চুলের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে সেটা জেনে নেওয়া যাক। বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই চুলের সমস্যা বলতে প্রথমেই আসে প্রচুর পরিমাণ চুল পরা বা ঝরে যাওয়ার সমস্যা। আর রয়েছে চুলের সঠিকভাবে বৃদ্ধি না হওয়া। মিষ্টি আলু চুলের এই দুই সমস্যা দূর করতেই সাহায্য করে। মিষ্টি আলুর মধ্যে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা চুলে পুষ্টির জোগান দিতে কাজে লাগে।
গাজর- চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গাজর খুবই ভাল। গাজরের রস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও স্যালাড কিংবা তরকারিতে গাজর খেতে পারেন। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও কাজে লাগে গাজর। গাজরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই। এই দুই ভিটামিনের সাহায্যে আমাদের স্ক্যাল্প অর্থাৎ মাথার তালুতে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আর তার ফলে চুলের সঠিকভাবে বৃদ্ধি সম্ভব।
পালং শাক- এই শাকের রয়েছে হাজারো গুণ। একাধিক পুষ্টি উপকরণ এবং ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে এই পালং শাকের মধ্যে। তাই খাবারের পাতে পালং শাক রাখা প্রয়োজনীয়। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও কাজে লাগে পালং শাক। এর মধ্যে রয়েছে ফোলেট, আয়রন, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। এই সমস্ত উপকরণ চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই পালং শাক খাওয়া জরুরি।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন