Covid 19 In Older Adults : বুকের যন্ত্রণা বা স্ট্রোক হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে করোনা পজিটিভ, বয়স্কদের উপর কীভাবে নজর রাখবেন
Covid 19 In Older Adults : কোভিড আক্রান্ত হয়ে যাঁরা আইসিইউতে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই , ৯০-৯৫ শতাংশই কিন্তু ষাটোর্ধ্ব। তাঁদের অনেকেরই হয়ত জ্বর বা সর্দির মতো উপসর্গ ছিল না
কলকাতা : ওমিক্রন (omicron) মৃদু ধাক্কা এই ধারণা এখন অনেকের মনেই গেঁথে গিয়েছে। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত (coronavirus) হয়ে ভর্তির সংখ্যা আগের তুলনায় কম। একথা ঠিকই, তবে সেই সঙ্গে এটাও ঠিক রাজ্যের সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালগুলির আইসিইউ (ICU) বেড বড় একটা খালি পড়ে নেই। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে চিন্তায় ফেলেছে ২৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন। । প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়ল একদিনে মৃত্যুর হার।গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু ৬১৪ জনের। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে বয়স্কদের নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।
মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ারের একমো (ECMO) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দীপাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জানালেন, কোভিড আক্রান্ত হয়ে যাঁরা আইসিইউতে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই , ৯০-৯৫ শতাংশই কিন্তু ষাটোর্ধ্ব। তাঁর থেকে বেশি বয়সিও আছেন প্রচুর। কিন্তু অপেক্ষাকৃত ভাবে কম বয়সিরা দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজে থেকেই। কেন, পরিস্থিতি কঠিন হচ্ছে বয়স্ক করোনা আক্রান্ত রোগীদের।
ডা. দীপাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জানালেন, বয়স্কদের কারও কারও পরিস্থিতি কিন্তু বেশ খারাপ হচ্ছে। তাঁর অন্যতম কারণ হল,
- বৃদ্ধদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
- উপরন্তু অনেকেরই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর পেরিয়ে গিয়েছে বহু মাস। নেওয়া হয়নি বুস্টারও। এমন মানুষদের উপরই কোভিডের কামড়টা প্রবল হচ্ছে।
- বয়স্কদের অনেকেরই কোমর্বিডিটি আছে। যাঁরা কোভিড আক্রান্ত হয়ে আইসিইউ বা এইচডিইউতে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের অনেকেরই হয়ত হার্টের সমস্যা আছে,। ফুসফুস বা লিভারের সমস্যা আছে। হয়ত ডায়ালিসিসও চলছে। তাঁদের ক্ষেত্রে রোগটা আরও মারাত্মক হচ্ছে।
- অনেক বয়স্ক মানুষই কিন্তু বিছানায় শয্যাশায়ী। তাঁরা নিজেরা তেমন কিছু করে উঠতে পারেন না। তাই তাঁরা করোনা আক্রান্ত হলে নিজেহয়ত সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না।
এই ক্ষেত্রগুলিতে বয়স্কদের উপর করোনা সংক্রমণ বেশি ক্ষতি করছে। পরিস্থিতি যাচ্ছে খারাপের দিকে। চিকিৎসক সতর্ক করলেন, এখন অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাই একা থাকেন। বা বাড়িতে অন্যরা থাকলেও তাঁদের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ থাকে না। এই সময়ে কিন্তু তেমনটা করলে চলবে না। চিকিৎসক জানালেন, অনেকক্ষেত্রেই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের করোনা সংক্রমণ হলেও সর্দি-গর্মি বা জ্বর হচ্ছে না। তার প্রকাশ ঘটছে আরও মারাত্মক ভাবে। যেমন - - পেটে অসহ্য যন্ত্রণা
- বুকে ব্যথা
- স্ট্রোক
- হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া
- নেতিয়ে পড়া
এই সমস্যাগুলি নিয়ে যখন রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে, তখন কোভিড টেস্ট করে হয়ত দেখা যাচ্ছে তিনি করোনা-পজিটিভ। সেক্ষেত্রে তাঁদের আইসিইউতে ভর্তি করতে হচ্ছে। তাই করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের একা ছাড়লে চলবে না। সারাদিন তাপমাত্রা মনিটর করতে হবে। খেয়াল রাখবেন - - জ্বর এলেই টেস্ট করাতে হবে। অপেক্ষা করলে চলবে না।
- সর্দি - কাশি হলেই পরীক্ষা করান।
- অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বুকে ব্যথা, মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া বা স্ট্রোক হচ্ছে। সেই উপসর্গ নিয়ে আসার পর দেখা যাচ্ছে তাঁরা করোনা পজিটিভ।
- আপনার বাড়িতে কেউ বয়স্ক থাকলে নিজেরাও ভ্যাকসিন নিয়ে নিন।
- পরিচারকরাও যেন ভ্যাকসিনেটেড হন। বয়স্ক মানুষদের ভ্যাকসিন দেওয়ান।
- ওঁদের কাছাকাছি থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ ওঁরা অনেক সময়ই নিজের অসুবিধের কথাটা বলে উঠতে পারেন না।
- বাড়িতে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৩-৪ বার মাপতে হবে। পালস রেট মাপতে হবে।
- পরিমাণমতো খাওয়া-দাওয়া করছেন কিনা নজর রাখতে হবে।
- মল-মূত্র ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা নজর রাখতে হবে।
- অনেক সময় ঠিকমতো জল খাওয়া হচ্ছে না বলে, ডিহাইড্রেশনের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।
এই সমস্যাগুলির কোনওটিও দেখা দিলেই রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে আনতে হবে। যত দেরি করবেন, সমস্যা বাড়তে পারে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )