Lassa Fever: ব্রিটেনে মৃত ৩, করোনা আবহে নতুন আতঙ্ক ‘লাসা ফিভার’
Lassa fever: ব্রিটেনে ‘লাসা ফিভার’-এ আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের মতে, ‘লাসা ফিভার’ অতিমারীর আকার নিতে পারে।
নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের (covid-19) নতুন ভ্যারিয়্যান্ট বিটা (Beta), ডেল্টা (Delta), ডেল্টা প্লাস (Delta Plus), ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ উদ্বিগ্ন। এরই মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ‘লাসা ফিভার’ (Lassa fever)। ব্রিটেনে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের মতে, ‘লাসা ফিভার’ অতিমারীর আকার নিতে পারে।
‘লাসা ফিভার’ অবশ্য নতুন নয়। ব্রিটেনে ১৯৮০ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত আটবার এই রোগের কথা জানা গিয়েছে। ২০০৯ সালে দু’বার এই রোগের কথা জানা যায়। এবার এই রোগ ফিরে এল।
ইউনাইটেড স্টেটস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পশুদের মাধ্যমে সংক্রমিত হয় এই রোগ। কেউ যদি এই রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে তাঁর শরীরে রক্তক্ষরণ হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণত ইঁদুরের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ে ‘লাসা ফিভার’। এই রোগে সংক্রমিত ইঁদুরের মল-মূত্র যদি খাবার বা বাড়ির কোনও আসবাবপত্রে লেগে থাকে, তাহলে সেখান থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে এই রোগ। একসময় পশ্চিম আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়েছিল এই রোগ। তবে এখন এটি সেখানে স্থানীয় সংক্রমণে পরিণত হয়েছে।
ইঁদুর বা অন্য কোনও পশুর মাধ্যমে বেশি ছড়ালেও, ‘লাসা ফিভার’ মানুষ থেকে মানুষের শরীরেও ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যদি সংক্রমণ ঠেকানোর উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই রোগের কথা প্রথমবার জানা যায় ১৯৬৯ সালে। নাইজেরিয়ার লাসা শহরে প্রথম ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। সেই কারণেই এই শহরের নামে রোগটির নামকরণ করা হয়েছে। ইউনাইটেড স্টেটস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর এই রোগে এক থেকে তিন লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হন। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর প্রায় ৫,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে খবর, ২ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে এই রোগ। ‘লাসা ফিভার’-এর উপসর্গ খুবই সামান্য। কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে সহজে ধরাও পড়ে না। জ্বরের পাশাপাশি দুর্বলতা থাকে। এরপর ধীরে ধীরে মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, ডায়েরিয়া, সর্দি-কাশি, পেটে ব্যথা হয়। নাক-মুখ থেকে রক্তও পড়ে। রোগ যদি গুরুতর হয়, তাহলে ১৪ দিনের মধ্যে মৃত্যুও হতে পারে। যত তাড়াতাড়ি এই রোগ ধরা পড়ে, সেরে ওঠার সম্ভাবনা তত বেশি। সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )