Lifestyle Changes: বেশি বয়সেও ত্বক থাকবে টানটান, সুস্থ-সবল থাকতে প্রতিদিনের জীবনে কী কী নিয়ম মেনে চলবেন?
Healthy Lifestyle: বয়স বাড়লে বিশেষ করে চিকিৎসকরা বলে থাকেন ৪০ বছরের পর থেকেই নিজের খেয়াল একটু বেশি রাখা প্রয়োজন। যদি আপনার ধূমপানের অভ্যাস থাকে তাহলে এই অভ্যাস ধীরে ধীরে ত্যাগ করা উচিত।
Lifestyle Changes: বয়স বাড়ছে, আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আপনার চিন্তা। ভাবছেন কীভাবে এড়াবেন বলিরেখার সমস্যা, কীভাবে রুখবেন সাদা চুলের সমস্যা, তাহলে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। সবার আগে নিজের যত্ন নেওয়া শুরু করুন, নিজেকে সময় দিন। এর সঙ্গে আর কী কী করবেন, দেখে নেওয়া যাক।
নিয়মিত শরীরচর্চা- বয়স বাড়লে আমাদের একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে বাসা বাঁধে বিভিন্ন রোগ। একই সঙ্গে বাড়তে থাকে ব্যথা-বেদনা। তাই বেশি বয়সেও ফিট থাকতে চাইলে নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। আর সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম- ঘুমের ঘাটতি হলে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম অতি অবশ্যই প্রয়োজন। ভালভাবে ঘুমালে ত্বক থাকে ঝকঝকে। বলিরেখা সেভাবে দেখা যায় না। এর পাশাপাশি কমে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। ফলে মানসিক ভাবে তরতাজা থাকেন আপনি।
ত্যাগ করতে হবে ধূমপানের অভ্যাস- বয়স বাড়লে বিশেষ করে চিকিৎসকরা বলে থাকেন ৪০ বছরের পর থেকেই নিজের খেয়াল একটু বেশি রাখা প্রয়োজন। যদি আপনার ধূমপানের অভ্যাস থাকে তাহলে এই অভ্যাস ধীরে ধীরে ত্যাগ করা উচিত। দীর্ঘদিনের ধূমপানের অভ্যাস একদিনে ত্যাগ করা সম্ভব নয়। তাই ধীরে ধীরে চেষ্টা করুন। একাধিক শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি ত্বকের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যা ডেকে আনে ধূমপানের অভ্যাস। নষ্ট হয় স্কিন ইলাস্টিসিটি, দেখা দিতে পারে রিঙ্কেলস, ঠোঁট এবং দাঁতে কালচে ছোপ পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে সেটাও ছাড়তে হবে- বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মদ্যপানের অভ্যাসও ত্যাগ করা প্রয়োজন। কারণ নিয়মিত ভাবে মদ্যপানের অভ্যাস স্কেলেটাল মাসল বা পেশীর ক্ষয় করে, যার ফলে অকালে বলিরেখা দেখা দিতে পারে। এর সঙ্গে হার্টের সমস্যা তো রয়েইছে। ত্বকের উজ্জ্বলও ভাবও কমিয়ে দেয় নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস।
নজর দিন খাওয়া-দাওয়ায়- বয়স বাড়লে সংবরণ আনতে হবে জিভে। অর্থাৎ খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। যা ইচ্ছে তা খেয়ে নিলে চলবে না। কারণ সব ধরনের খাবার আপনার শরীরে সহ্য নাও হতে পারে। তাই সহজপাচ্য খাবার খান। অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার, ভাজাভুজি এইসব এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার শরীরে কোনও উপকরণের ঘাটতি না হয়। ভিটামিন এবং মিনারেলসের ঘাটতি হলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে ত্বকে এবং চুলে। ভুলভাল খাওয়ার কারোনে বদহজম বা অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে অকালে চুল ঝরতে পারে, চুল পেকে সাদা হতে পারে। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক সমস্যা।
ত্বকের পরিচর্যা প্রয়োজন নিয়মিত- বয়স বৃদ্ধি পেলে নিজের যত্ন নেওয়া একটু বেশিই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মূলত ত্বকের পরিচর্যা এবং চুলের যত্নের কথা বোঝানো হচ্ছে। দিনে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট নিজেকে সময় দিন ত্বক পরিচর্যার জন্য। একই সঙ্গে যত্ন নিতে হবে চুলেরও। চুল এবং ত্বক যাতে ভাল থাকে সেজন্য বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে যত্ন করা যেমন প্রয়োজন, তেমনই নিয়মমাফিক জীবনযাপন করাও প্রয়োজন। শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন হলে আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন।