Hepatitis D : লিভার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ, বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ভাইরাস ! এই ইনফেকশনকে ক্যান্সারসৃষ্টিকারী বলল WHO
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যান্সার শাখা, ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার, হেপাটাইটিস ডি-কে একটি কার্সিনোজেন বলে উল্লেখ করেছে ।

কলকাতা : ক্যান্সার । এমনিই আতঙ্কের কারণ। চিকিৎসাশাস্ত্রের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিও দমাতে পারেনি কর্কট রোগের বাড়বাড়ন্তকে। এবার এক ধরনের হেপাটাইটিসকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বলে চিহ্নিত করল হু । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যান্সার শাখা, ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার, হেপাটাইটিস ডি-কে একটি কার্সিনোজেন বলে উল্লেখ করেছে । এই স্বল্প পরিচিত ভাইরাসটিও নীরবে লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ঠিক যেমন হেপাটাইটিস বি এবং সি।
হেপাটাইটিস D
হেপাটাইটিস সম্পর্কে অল্পবিস্তর ধারণা অনেকেরই রয়েছে। হেপাটাইটিস একটি ভাইরাল সংক্রমণ । এরফলে লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। হেপাটাইটিসের পাঁচটি প্রধান ধরণ রয়েছে। A, B, C, D এবং E। এর মধ্যে B, C এবং D স্ট্রেনগুলি সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাসগুলি বছরের পর বছর ধরে বেঁচে থাকতে পারে, ধীরে ধীরে লিভারের ক্ষতি করে। WHO উল্লেখ করেছে, ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি, সি, অথবা ডি সংক্রমণে আক্রান্ত। ১৩ লক্ষ মানুষ হেপাটাইটিস সম্পর্কিত রোগে মারা যায়। বেশিরভাগই জানেন না যে তারা হেপাটাইটিসে সংক্রমিত। যখন লক্ষণগুলি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তখন হয়ত সমস্যাটা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
হেপাটাইটিস ডি কী সে আলাদা ?
এখন হেপাটাইটিস ডি কী সে আলাদা ? হেপাটাইটিস ডি শুধুমাত্র সেইসব লোকদেরই সংক্রমিত করে যাদের ইতিমধ্যেই হেপাটাইটিস বি আছে। তখন ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যায়। এই ভাইরাস সংক্রমিত রক্ত, অনিরাপদ যৌন মিলন, অনিরাপদ ইনজেকশনের মাধ্যমে অথবা মাঝে মাঝে জন্মের সময় মা থেকে শিশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
হেপাটাইটিস ডি-এর লক্ষণ যে সবসময় প্রকট হবে এমনটা নয়। ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, পেটে অস্বস্তি, গাঢ় প্রস্রাব বা ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখলেই হেপাটাইটিসের প্রভাব বলে সন্দেহ করেন চিকিৎসকরা। চিন্তার কথা হল, হেপাটাইটিস ডি-এর জন্য আলাদা কোনও টিকা নেই। হেপাটাইটিস বি টিকা নিলে, তা উভয় ভাইরাসের বিরুদ্ধেই সুরক্ষা দেয়। WHO জানিয়েছে যে ১৪৭টি দেশ এখন নবজাতকের হেপাটাইটিস বি এর টিকা দেয়।
হেপাটাইটিস ডি এ কী কী লক্ষণ দেখা যায় ?
- গাঢ় রঙের প্রস্রাব
- ফ্যাকাশে বা মাটি-মাটি রঙের মল
- জন্ডিস (ত্বক এবং চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া)
- ক্লান্তি ও জ্বর
- ক্ষুধামান্দ্য, বমি বমি ভাব
- বমি এবং পেটে ব্যথা






















