Mental illness and Health: ড্রাগে আসক্তি আসে মানসিক রোগ থেকেই! গবেষণায় নয়া তথ্য
যারা আসক্ত হন তাঁরা সুস্থ, স্বাভাবিক মানসিক অবস্থা থেকে এই কাজ করেন না। বরং মানসিক রোগ থেকেই ধীরে ধীরে নেশাসক্তির দিকে এগিয়ে যান।
কলকাতা: সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গিয়েছে ড্রাগে যারা আসক্ত হন তাঁরা সুস্থ, স্বাভাবিক মানসিক অবস্থা থেকে এই কাজ করেন না। বরং মানসিক রোগ থেকেই ধীরে ধীরে নেশাসক্তির দিকে এগিয়ে যান। গবেষণার রেজাল্ট 'ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড অ্যাডিকশন'-এ প্রকাশিত হয়েছে। কানাডার ৪৬০ জন নেশাসক্ত এবং ২০ হাজার ৩০৫ জন মানসিকভাবে সুস্থদের উপর এই গবেষণা করা হয়।
দেখা গিয়েছে, এদের মধ্যে ৮০ শতাংশের মাদক ইতিহাস রয়েছে। এদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি (৫২.১ শতাংশ) এখনও মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন। মানসিক অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেয়েও আগের জীবনে ফিরতে পারেননি অনেকেই। এর কারণ ড্রাগস। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক অ্যান্ডি ম্যাকনিল বলেন, "আমরা কীভাবে ড্রাগ আসক্তি থেকে তাঁদের বের করে আনতে পারি সেই মনস্তাত্ত্বিক কাজ নিয়ে এগোচ্ছি এখন। এই সকল ব্যক্তিদের সামাজিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠাও জরুরি।"
বর্তমান গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক অনেক মাদকাসক্তরা সামাজিক সহায়তা নিয়েই ড্রাগ আসক্তি কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন। টরন্টোর ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল ওয়ার্কের অধ্যাপক এবং ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর এসমে ফুলার-থমসন বলেন, "বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে একটা সমস্যা দেখা যায়। তাঁরা নিজেদের চেনা পরিসর থেকে দূরে নিয়ে যান এবং ধীরে ধীরে মাদক নিয়ে শুরু করেন। মানসিক অস্থিরতা থেকেই এই আসক্তি আসে।"
ব্রাজিলেও কোকেন ব্যবসা ও ড্রাগ আসক্তি-মৃত্যুর একাধিক খবর পাওয়া যায় প্রতি বছরই। পরিসংখ্যান বলছে, ব্রাজিলে মাদক ব্যবহারকারীর সংখ্যা এই মুহূর্তে ৫৬ লক্ষ। যদি আমেরিকায় উচ্চবিত্তদেরই কোকেনের প্রতি আসক্ত হতে দেখা যায়। ব্রাজিলে যদিও কম দাম ও সহজলভ্য হওয়ায় কোকেন এখন সব শ্রেণির হাতের নাগালে৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কম বয়সীদের মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে এই ড্রাগ আসক্তি। গত কয়েক বছরে কোকেনের কারণে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। রিহ্যাব বা চিকিৎসা করানোর মাধ্যমে এর সম্পূর্ণ চিকিৎসা সম্ভব নয় বলেই জানান চিকিৎসকেরা। চিকিৎসার পাশাপাশি পরিবারের সঠিক সময় কাটানোর উপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )