Weight Loss Tips: এই ৬টি পানীয়েই কাজ, ওজন থাকবে লাগামে
Health Tips: শুধু খাবার নয়, পানীয়ও ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কলকাতা: বিশ্বজুড়ে বাড়ছে স্থূলতার (obesity) সমস্যা। স্থূলতার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। ডায়াবেটিস থেকে হৃদরোগ, কিডনির রোগ থেকে হাঁটুর সমস্যা। একাধিক সমস্যা মূলে রয়েছে অতিরিক্ত ওজন। সেই কারণেই বারবার ওজন কমানোর পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।
কীভাবে কমবে ওজন:
ওজন কমাতে খাওয়ার উপর নজর দিতে বলেন চিকিৎসক ও ডায়েটিশিয়ানরা। অতিরিক্ত তেল ও মশলা দেওয়া খাবার খেতে বারণ করা হয়। কিন্তু শুধু খাবার নয়, পানীয়ও ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কেন পানীয় গুরুত্বপূর্ণ?
দিনভর জল খেতেই হয়। খাবারে লাগাম দিলেও যদি পানীয়ে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকে, তাহলে গোটা চেষ্টাটাই মাটি, এমনটাই বলছেন ডাক্তাররা। অনেকেই সারাদিনে নানাধরনের ঠান্ডা পানীয় খেয়ে থাকেন। তার মাধ্যমে প্রচুর শর্করা যায় শরীরে। ফলে শরীরে চিনির আধিক্য ঘটে। চা বা কফিতে বেশি চিনি দিয়ে খেলেও একই ঘটনা ঘটে। যার ফলে সব মিলিয়ে বাড়তে থাকে ওজন। দিনভর প্রয়োজনমতো জল (water) খেতে হবে। পর্যাপ্ত জল খেলে হজম ও পাচনপ্রক্রিয়া ঠিক থাকে। তার ফলে প্রভাব পড়ে ওজন নিয়ন্ত্রণেও। পানীয় বাছাইয়ে কী কী নজর দিতে হবে?
জলে ফল
ফল আলাদা খাওয়া যায়। তবে এক গ্লাস জলে ফলের (fruit) টুকরো ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। যেমন স্ট্রবেরি (strawberry)। তাতে ফলের ভিটামিন, ফলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জলে মিশবে। ওজন কমাতে সাহায্য করবে। স্ট্রবেরির বদলে কমলার টুকরো, পাতি লেবুর টুকরোও দেওয়া যায়।
মদ্যপানে লাগাম
অ্যালকোহলভিত্তিক পানীয়ে লাগাম দেওয়া প্রয়োজন। মদ ও মদজাতীয় পানীয় কম খেলে ভাল হয়। কারণ অ্যালকোহলজাতীয় পানীয়ের কারণে শরীরে বহু পরিমাণে ক্যালোরি যায়। যার ফলে মারাত্মক ওজন বাড়তে পারে।
হার্বাল চায়ে জোর
চা অনেক দেশেই প্রচলিত পানীয়। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টিপদার্থ যায়। শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে হার্বাল চা (herbal tea)। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়ক।
প্রোটিন শেকে উপকার
প্রোটিন শেক (protein shake) শরীরে ফ্যাট কমাতে সাহায্য় করে। হাই প্রোটিন ডায়েটও সেই কাজ করে। প্রোটিন শেকে ফ্যাটের পরিমাণ এমনিতেই অনেক কম থাকে। ফ্যাট অক্সিডেশনের মাত্রাও বৃদ্ধি করে।
ফলের রস
ফলের রস করে খাওয়া যেতে পারে। তবে রসে অতিরিক্ত চিনি মেশানো যাবে না। যদিও ফলের রস করে খেলে প্রয়োজনীয় ফাইবার বাদ যাবে।
লো-ফ্যাট দুধ
দুধ প্রয়োজন। নিত্যদিনের ডায়েটে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার হয় দুধ। ইদানিং বিভিন্ন টোনড বা স্কিমড মিল্ক (tonned milk) পাওয়া যায়। সেই দুধে স্নেহপদার্থ ছেঁকে বের করা থাকে। প্রতিদিনের ব্যবহারে ওইরকম দুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের দামে আগুন! মুখ খুললেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )