Keto Diet: কেটো ডায়েট আসলে কী? কোন ধরনের খাবার খাওয়া হয়? কোন কোন নিয়ম মেনে চললে ওজন কমাতে সফল হবেন আপনি?
Weight Loss: চলুন নেওয়া যাক কেটো ডায়েট আসলে কী এবং এই ডায়েটের সময় কোন কোন নিয়ম মেনে সফল হবেন আপনি। ওজন কমবে আপনার।
Keto Diet: আজকাল ওজন কমানোর (Weight Loss) জন্য অনেকেই কেটো ডায়েট(Keto Diet) করে থাকেন। এর মাধ্যমে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। কিন্তু সেক্ষেত্রে শুধু কেটো ডায়েট মেনে চললেই হবে না। বেশ কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন। কেটো ডায়েটে তখনই আপনি সফল হতে পারবেন, অর্থাৎ মেদ ঝরবে। তাহল চলুন নেওয়া যাক কেটো ডায়েট আসলে কী এবং এই ডায়েটের সময় কোন কোন নিয়ম মেনে সফল হবেন আপনি।
কেটো ডায়েট
কেটো ডায়েট হল কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার। অর্থাৎ আপনার ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয় এই বিশেষ ধরনের ডায়েটে। মূলত কেটো ডায়েটের ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে তার পরিবর্তে হেলদি ফ্যাট রাখা হয়।
এবার জেনে নেওয়া যাক কেটো ডায়েট করে সফলভাবে ওজন কমানোর জন্য কী কী নিয়ম মেনে চলবেন
প্রসেসড ফুড একেবারেই বন্ধ- প্রসেসড ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কারণ এই জাতীয় খাবারে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ক্যালোরির পরিমাণ অত্যধিক থাকে। এইসব খাবারের পরিবর্তে প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এই জাতীয় খাবার অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে এবং সহজে খিদে পাবে না। ফলে অসময়ে যা খুশি খাওয়ার প্রবণতা অর্থাৎ স্ন্যাকিংয়ের বিষয়টা কমবে। আর প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখবে যা কেটো ডায়েটের মূল লক্ষ্য।
কেটো ডায়েটের খাবার মজুত রাখুন বাড়িতে- যাঁরা কেটো ডায়েট করছেন তাঁরা বাড়িতে এই ডায়েটের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার মজুত করে রাখুন। সাধারণত কেটো ডায়েটের ক্ষেত্রে ডিম, সামুদ্রিক খাবার (মাছ), বিভিন্ন ধরনের বাদাম, বীজ, অ্যাভোকাডো, স্টার্চ ছাড়া শাকসবজি, সবুজ শাকপাতা জাতীয় জিনিস, ব্রকোলি, ফুলকপি, শসা- এইসব খাওয়া হয়ে থাকে।
স্ট্রেসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন- মানসিক চাপের কারণে অনেকসময় আমরা বেশি খেয়ে ফেলি। তাই কেটো ডায়েট করার সময় স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। কথায় আছে 'গুড ফুড গুড মুড'। মানসিকভাবে চাপে থাকলে আমরা অনেকসময়েই মন ভাল করার জন্য স্ন্যাকিং করে থাকি যা অত্যধিক হারে ওজন বৃদ্ধি করে। যদি আপনি কেটো ডায়েটের মধ্যে থাকেন তাহলে অবশ্যই স্ট্রেসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রয়োজনে পরামর্শ নিতে হবে বিশেষজ্ঞের। একইভাবে রাতে ঠিকমতো ঘুমনো প্রয়োজন। রাত জাগার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করা দরকার। কারণ রাতে জেগে থাকলেও মিডনাইট স্ন্যাকিংয়ের প্রবণতা বাড়বে। তার ফলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। তাই রাতে সঠিকভাবে ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।
চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে- ওজন কমাতে চাইলে এমনিই চিনি খাওয়ার প্রবণতা কমানো দরকার। অনেকে চিনির পরিবর্তে মধু,গুড় ইত্যাদি খেয়ে থাকেন। কেটো ডায়েট করলে চিনি জাতীয় অর্থাৎ মিষ্টি স্বাদের খাবার খাওয়াই বন্ধ করা প্রয়োজন। তাহলেই কমবে ওজন। কেটো ডায়েট করে সফল হবেন আপনি।
আরও পড়ুন- চুলে শ্যাম্পু করার সময় এই ভুলগুলো করলেই বাড়বে বিপদ, সময় থাকতেই সতর্ক হোন
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )