Saraswati Puja 2022: সরস্বতী পুজোয় কেন হলুদ রঙের পোশাক পরা হয়?
আসন্ন সরস্বতী পুজোয় আপনিও হয়তো প্রিয়জনদের সঙ্গে হলুদ পোশাকে সেজে উঠবেন। কিন্তু জানেন কি কেন সরস্বতী পুজোয় হলুদ রঙের পোশাক পরা হয় বা কেন হলুদ রঙের এত ব্যবহার করা হয়?
কলকাতা: আর মাত্র কয়েকটা দিন পরই আসবে সরস্বতী পুজো। শীতকাল আসলেই বাংলার মানুষ যে উৎসবগুলোর জন্য অপেক্ষা করে তার মধ্যে অন্যতম সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja 2022)। শিক্ষার্থীরা বাগদেবীর আরাধনায় মেতে ওঠে। স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে-বাড়িতে, পাড়ার ক্লাব থেকে বিভিন্ন জায়গায় সরস্বতী পুজোর আয়োজন হয়। এই দিন যেদিকেই তাকানো যায়, হলুদ রঙের বাহার চোখে পড়ে। ছোট থেকে বড় বেশিরভাগ মানুষই এদিন হলুদ রঙের পোশাক পরেন। নানা জায়গা হলুদ রঙের জিনিস ব্যবহার করে সাজানো হয়। আসন্ন সরস্বতী পুজোয় আপনিও হয়তো প্রিয়জনদের সঙ্গে হলুদ পোশাকে সেজে উঠবেন। কিন্তু জানেন কি কেন সরস্বতী পুজোয় হলুদ রঙের পোশাক পরা হয় বা কেন হলুদ রঙের এত ব্যবহার করা হয়?
আরও পড়ুন - Saraswati Puja 2022 Date: আগামী বছর কবে পড়েছে সরস্বতী পুজো? কতক্ষণই বা থাকবে তিথি?
সরস্বতী পুজো আসছে মানেই বোঝা যায় শীতের শেষ আর বসন্তের শুরু হতে চলেছে। শ্বেতশুভ্র সাজে বীণা হাতে আমাদের কাছে আসেন মা সরস্বতী। বাগদেবীর আরাধনা হয় সমস্ত জায়গায়। পড়ুয়ারা এই দিনে মায়ের আরাধনায় শিক্ষার প্রার্থনা করেন। সরস্বতী পুজোর এই বিশেষ দিনে হলুদ রঙের পোশাক পরার অন্যতম কারণ হিসেবে জানা যায়, হলুদ রঙ মানুষে মনে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। নেতিবাচক সমস্ত শক্তির অবসান ঘটিয়ে ইতিবাচকভাবে যেকোনো কিছুর শুরুর জন্য হলুদ রঙের ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, প্রকৃতিতে যখন হলুদ রঙে সেজে ওঠে, তখন তা আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। এই সমস্ত কারণেই এই দিনে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী থেকে পড়ুয়ারা এমনকি বড়রাও হলুদ রঙের পোশাক পরেন।
প্রসঙ্গত, পঞ্জিকা মতে জানা যাচ্ছে, ২০২২-এ সরস্বতী পুজোর দিন পড়ছে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারিতে। জানা গিয়েছে, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রাত ৩.৪৭ মিনিটে শুরু হচ্ছে পুজোর শুভক্ষণ। আর তা থাকবে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রাত ৩.৪৬ পর্যন্ত। সরস্বতী পুজো বহু জায়গায় বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বসন্ত কালের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে এই পুজো হয়। এদিন বেশিরভাগ পূণ্যার্থীকে হলুদ রঙের পোশাকে সেজে উঠতে দেখা যায়। এছাড়াও এই শুভ দিনে বিভিন্ন শুভ কাজও হয়। এদিন নানা জায়গায় বাচ্চাদের হাতেখড়িরও আয়োজন করা হয়। মা সরস্বতীর আশির্বাদ নিয়ে যাতে পড়াশোনা শুরু করতে পারে তারা।