Jagannath temple Ratna Bhandar: খোলা হল জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার, ভিতরের সম্পদ নিয়ে তুঙ্গে কৌতূহল
Ratna Bhandar, ৪৬ বছর বাদে খোলা হল পুরীর রত্নভাণ্ডারের দরজা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছঢ়িয়েছে পুরীতে। ভিতরে কী রয়েছে তা জানতে মন্দিরের গেটের বাইরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সাধারণ মানুষ।
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, পুরী: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রবিবারই খোলা হল ১২০০ শতাব্দীতে তৈরি হওয়া পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath temple Ratna Bhandar} রহস্যময় রত্নভাণ্ডার (Ratna Bhandar)। ওড়িশায় বিধানসভা ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে পুরীর (Puri) রত্নভাণ্ডার খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। সেই ইচ্ছা পূরণ হতেই রত্নভাণ্ডার খোলার বিষয়ে ছাড়পত্র দেয় মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজির সরকার। এরপরই শুরু হয় যায় প্রস্তুতি। ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ও রাজ্য সরকার ও মন্দির কর্তৃপক্ষের তৈরি করে দেওয়া কমিটি বৈঠকে বসে ঠিক করে রথ ও উল্টোরথের মাঝামাঝি সময় যখন ভগবান জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি মন্দির থেকে বাইরে বের করে নিয়ে আসা হবে তখনই রত্নভাণ্ডার খোলা হবে। প্রথম সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৮ জুলাই জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের মধ্যে থাকা রত্নভাণ্ডারটি খোলা হবে। পরে তা ১৩ জুলাই অর্থাৎ আজকে খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে ফের ৪৬ বছর পর খুলতে চলেছে রত্নভাণ্ডারের দরজা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রত্নভাণ্ডার খোলার জন্য সবরকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। গর্ভগৃহের ভিতরে মোট দুটি রত্নভাণ্ডার রয়েছে। একটি বহির ভাণ্ডার ও একটি ভিতর ভাণ্ডার। রীতিমতো পঞ্জিকার সময় মেনে দুপুর ১.২৮ মিনিট নাগাদ ওই রত্নভাণ্ডার খোলার জন্য ইতিমধ্যেই মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করেছেন তৈরি হওয়া কমিটির ১১ জন সদস্য। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে চাবি দিয়ে যদি রত্নভাণ্ডার খোলা না যায় তাহলে তালা ভেঙেই ভিতরে ঢোকা হবে। ওই দুটি রত্নভাণ্ডারের মধ্যেই জগন্নাথ দেবের বৈদূর্য মণি ও নীলকান্ত মণি এবং নানান অলঙ্কার সহ যাবতীয় মূল্যবান জিনিস রয়েছে রত্নভাণ্ডারে। ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট প্রথা মেনে রত্নভাণ্ডারের দরজা খোলার অনুমতির জন্য আজ্ঞা মালা নিয়ে আসা হয়েছে। আগে যা ছিল তা এখনও রয়েছে কিনা তা তালিকা মিলিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। রত্নভাণ্ডার খোলার জন্য স্বর্ণকারদেরও ডেকে আনা হয়।
পুরীর মহারাজা দিব্যসিংহ দেব জানিয়েছেন, রত্নভাণ্ডারের মধ্যে বহু প্রাচীন কিছু রত্ন সহ জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূল্যবান গয়না রয়েছে। রয়েছে নানান দামী জিনিসও। বহির ভাণ্ডারের মূল্যবান জিনিসগুলো মাঝে মধ্যে খুলে পুজো ও উৎসবের সময় ব্যবহার করা হলেও ভিতর ভাণ্ডার ৪৬ বছর বাদে খোলা হচ্ছে। বহির ভাণ্ডারে রয়েছে জগন্নাথদেবের আভূষণ ও বহির ভাণ্ডারে রয়েছে মূল্যবান সামগ্রী। রত্নভাণ্ডারের জিনিসপত্রের জন্য ইতিমধ্যে বড় বড় সিন্দুক নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে রত্নভাণ্ডারের ভিতরে কী রয়েছে। তা জানার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত পুরোহিতদের পাশাপাশি মন্দিরের গেটের বাইরে অধীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন অংখ্য মানুষ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।