Earthquake In Japan:১৫৫ বার কাঁপল জাপানের মাটি, ভূকম্প-বিধ্বস্ত দেশে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
World News:সোমবার দুপুরের পর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৫৫ বার কেঁপে উঠেছে জাপান, জানাল সে দেশের আবহাওয়া দফতর। নতুন বছরের প্রথম দিনে পর পর ভূমিকম্পের অভিঘাতে জাপানে মৃতের সংখ্যা ৮।
কলকাতা: সোমবার দুপুরের পর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৫৫ বার কেঁপে উঠেছে জাপান (Japan Earthquake), জানাল সে দেশের আবহাওয়া দফতর। নতুন বছরের প্রথম দিনে পর পর ভূমিকম্পের অভিঘাতে জাপানে মৃতের সংখ্যা ৮। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ এখনও আটকে পড়ে রয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি। সেক্ষেত্রে মৃতের সংখ্য়া আরও বাড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বহু বাড়িতে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই গত কাল থেকে। মোটের উপর, নতুন বছরের একেবারে গোড়ায় জাপানের পশ্চিম উপকূল লাগোয়া বেশ কিছুটা অংশ ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত।
যা জানা গেল...
নতুন বছরের প্রথম দিন জাপানে, একের পর এক যে কটি ভূমিকম্প হয়েছে, তার মধ্যে একটির রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৭.৬, আর একটির ৬। এছাড়া অল্প-মাঝারি মাত্রার অজস্র কম্পন অনুভূত হয়েছে মাঝেমধ্যেই। এমনকি, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালেও অন্তত ৬ বার কেঁপে উঠেছে জাপান। গত কাল, রিখটার স্কেলে ৭.৬ তীব্রতার কম্পনের পর সুনামি-সতর্কতা জারি করেছিল সে দেশের প্রশাসন। ক্ষয়ক্ষতির ছবির মধ্যে আপাতত আশার কথা একটাই। মঙ্গলবার, সেই সুনামি-সতর্কতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু যে ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, তা ঠিক করতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে।
ভূকম্পন ও সুনামিতে তারা ঠিক কতটা ধাক্কা খেয়েছে, সেই ছবিটা যত সময় গড়াচ্ছে তত স্পষ্ট হচ্ছে। তবে এর মধ্যে যেটুকু দেখা গিয়েছে, তা শিউরে ওঠার মতো। আগুন লেগে শয়ে শয়ে বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে পড়ে রয়েছে। কোথাও আবার ডুবে যাওয়া নৌকোর স্রেফ পালটুকু দেখা যাচ্ছে। বাড়িগুলো একে অন্যের উপর যেন খেলনার মতো পড়ে রয়েছে। তার উপর বিদ্যুৎ নেই। তাই রাতভর ভয়ঙ্কর শীতে ঠকঠক করে কেঁপেছেন স্থানীয়রা।
আর যা...
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা জানাচ্ছে, এবারের কম্পনগুলির মধ্যে প্রধান যেটি, সেটি জাপানের মূল ভূখণ্ড, 'হংশু'-র ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে আঘাত হানে। মার্কিন সংস্থার মতে, রিখটার স্কেলে তার অভিঘাত ছিল ৭.৫। জাপানের তরফে সেটির অভিঘাত, রিখটার স্কেলে ৭.৬ বলে দাবি করা হয়। প্রশাসনের বক্তব্য, ওই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের পর থেকে সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত একই এলাকায় আরও ৯০টি কম্পন অনুভূত হয়েছে। দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের যত দ্রুত সম্ভব এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যেই অন্তত ১ হাজার মানুষ, সেনা ছাউনিতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে খবর। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, 'এখন ভীষণ ঠান্ডা। তাই জল, খাবার, কম্বল, গরম তেল, গ্যাসোলিন, জ্বালানির মতো অত্যন্ত জরুরি পণ্য হয় বিমান বা জাহাজে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।' ত্রাণ পাঠানোর কাজ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে। তবে আপাতত, ভূকম্প-বিধ্বস্ত এলাকায় বুলেট ট্রেন এবং বিমান-পরিষেবা বন্ধ। বেশ কিছু হাইওয়েও বন্ধ।
ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের দ্রুত উদ্ধারেরও চেষ্টা করছেন বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে জড়িত জাপানের কর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে সেই কাজও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলেছে। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। এক সুর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। বছরের গোড়াতেই এমন ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় যে লেগে যাবে, সে কথা মানছেন সকলেই।
আরও পড়ুন:রোভার Curiosity-র চোখে কেমন ছিল মঙ্গলের সকাল থেকে সন্ধে? প্রকাশ্যে ভিডিও