(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Turkey Syria Earthquake: ভূকম্প-বিপর্যয়ের মধ্যেই জেল ভেঙে পালাল ২০ আইএস জঙ্গি
20 ISIS Terrorists Escape Prison: ভয়ানক ভূকম্পে নয়ছয় দেশের বড় অংশ, সুযোগ পেয়ে সিরিয়ার জেল ভেঙে পালাল অন্তত ২০ জঙ্গি যাদের বেশিরভাগই আইএস গোষ্ঠীভুক্ত।
দামাস্কাস: ভয়ানক ভূকম্পে (earthquake) নয়ছয় দেশের বড় অংশ, সুযোগ পেয়ে সিরিয়ার (syria jail break) জেল ভেঙে পালাল অন্তত ২০ জঙ্গি (20 IS Militants run away) যাদের বেশিরভাগই আইএস গোষ্ঠীভুক্ত। সংবাদসংস্থা এএফপি-র দাবি অনুযায়ী, সিরিয়ার উত্তর পশ্চিমে এক জেলে এমন ঘটনা ঘটেছে।
কী ঘটল?
তুরস্ক সীমান্ত লাগোয়া রাজো শহরের এক সেনাপুলিশের কারাগারে ঘটনাটি ঘটেছে। অন্তত ২ হাজার বন্দি ছিলেন সেখানে, এমনই দাবি সংবাদসংস্থা এএফপি-র যাদের অন্তত ১৩০০ সন্দেহভাজন আইএস সন্ত্রাসবাদী। এছাড়াও কুর্দ বাহিনীর সদস্যদেরও বন্দি রাখা হত ওই জেলে। রাজো জেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কথায়, 'ভূমিকম্পে এই শহর বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সেটা হতেই অশান্তি শুরু করেন বন্দিরা, জেলের একাংশের দখল নেয়।' এই তাণ্ডবের মাঝেই ২০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি পালিয়ে যায়। সিরিয়ার এক ব্রিটিশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থার অবশ্য বক্তব্য, জঙ্গি পালানোর বিষয়টি নিয়ে তারা নিশ্চিত নয়। তবে জেলে বিদ্রোহ যে হয়েছিল, সেটা ঠিক। গত ডিসেম্বরেই সিরিয়ার প্রাক্তন রাজধানী 'রাকা' শহরের একটি সিকিউরিটি কমপ্লেক্সে হামলা চলে। সূত্রের খবর, বন্দি জঙ্গিদের মুক্ত করতে এই কাজ ঘটিয়েছিল তাদের সতীর্থরাই। কুর্দ বাহিনীর নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তাকর্মীদের ছজন ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় মারা যান। তার পর ফেব্রুয়ারিতেই ফের বিদ্রোহ।
ভূকম্প-বিধ্বস্ত এলাকার ছবি...
ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে তুরস্ক এবং প্রতিবেশী সিরিয়ায় এর মধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩০০-এরও বেশি। সোমবার ভোরে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পটি উভয় দেশে অনুভূত হয়। সেই ধাক্কায় বিশাল বিশাল বহুতল ধসে পড়ে। ধ্বংস হয়ে যায় হাসপাতাল। হাজারো মানুষ চাপা পড়ে যান। গৃহহীন হয়ে পড়েন হাজার হাজার। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তাপমাত্রা রাতারাতি হিমাঙ্কের কাছাকাছি নেমে গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া বা গৃহহীনদের অবস্থা আরও খারাপ করেছে আবহাওয়া। যাঁরা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন, তাঁদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া অনেকেই ঠান্ডার কামড়ে প্রাণ হারিয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রবল ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজও। মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে কেউ জানে না ! প্রবল প্রতিকূলতার মধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ ! চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ আর সার সার মৃতদেহের ছবি সামনে এসেছে। তারমধ্যেই সোমবার ভোরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৫০ বার আফটার শক হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ায়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ১৯৩৯ সালে শেষবার এমনই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তুরস্কে। সেবারও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৩ হাজার মানুষ।