Covid19 Update: লকডাউনে কম খেয়েছেন ৯০ শতাংশ ভারতীয় মহিলা, বলছে গবেষণা
সম্প্রতি খাবার পিছু খরচ, পুষ্টির সূচকের ওপর ভিত্তি করে একটি সমীক্ষা চালায় 'টাটা কর্নেল ইনস্টিটিউট ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড নিউট্রিশন'। যেখানে দেখা যায়, ৯০ শতাংশ মহিলা লকডাউনের সময় কম খাবার খেয়েছেন।
নয়াদিল্লি : কোভিডকালে লকডাউনের সময় ১০ জনের মধ্যে ৯ জন মহিলাই কম খেয়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে তাদের শারীরিক পুষ্টিতে। ভারতীয় মহিলাদের নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
সম্প্রতি খাবার পিছু খরচ, পুষ্টির সূচকের ওপর ভিত্তি করে একটি সমীক্ষা চালায় 'টাটা কর্নেল ইনস্টিটিউট ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড নিউট্রিশন'। উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ওড়িশার ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। যেখানে দেখা যায়, ৯০ শতাংশ মহিলা লকডাউনের সময় কম খাবার খেয়েছেন। যদিও ৯৫ শতাংশ মহিলা জানান, তাঁরা কম 'পদ' খেয়েছেন।
এই সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে একটা নেতিবাচক তথ্য। যেখানে দেখা গিয়েছে, কম খাবার খাওয়ার জন্য মাংস, ডিম , সবজি, ফলের মতো পুষ্টিকর খাদ্য কম খেয়েছেন মহিলারা। যা তাদের শারীরিক বিকাশের মূল উপাদন। 'ইকোনমিকা পলিটিকা' নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র। ২০২০ ও ২০১৯ সালের মে মাসের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যাতে দেখা গেছে, ২০২০ সালের লকডাউনের সময় পরিবার পিছু খাবারের খরচ ও মহিলাদের খাবারের বৈচিত্র কমে গিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে টাটা কর্নেল ইনস্টিটিউট(TCI)-এর রিসার্চ ইকোনমিস্ট সৌম্য গুপ্ত বলেন, ''মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আগেও মহিলাদের ডায়েটে নানা ধরনের খাবারের অভাব ছিল। তবে কোভিড পরিস্থিতি তা আরও বাড়িয়ে তোলে।কোনও মহামারী পুষ্টির ওপর কী প্রভাব ফেলেছে তা বুঝতে পুরুষ বা মহিলার আলাদা সমীক্ষা করা উচিত। দেখা যাবে, এরফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলারাই দুর্বলতার শিকার হন।''
দেশের লকডাউনের অতীত বলছে, ২০২০ সালে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ২৪ মার্চ থেকে লকডাউনের ঘোষণা করে সরকার।গবেষকরা সমীক্ষায় দেখতা পান, অনুন্নত জেলাগুলিতে লকডাউনের ফলে খাদ্য সরবরাহে সমস্যার সৃষ্টি হয়। যার ফলে খাবারের দামও ওঠানামা করতে শরু করে। যার প্রভাব কোনও না কোনওভাবে মহিলাদের ওপর পড়ে। সমীক্ষায় অনেক মহিলাই জানান, লকডাউনের সময় পুষ্টিকর ও পরিমাণমতো খাবার খেতে পারেননি তাঁরা। সেই সময় ডাল ও রাজমা রান্নার পরিমাণ অর্ধেক করে দিয়েছিলেন তাঁরা। পরবর্তীকালে পাতলা ডাল করতে শুরু করেন মহিলারা।
গবেষণা বলছে, লকডাউনের সময় মহিলাদের এই কম খাওয়ার পিছনে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি বন্ধ থাকার বিষয়টিও অন্যতম কারণ। সেই সময় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি বন্ধ থাকায় দেশের ৭২ শতাংশ পরিবারের ওপর প্রভাব পড়ে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি থেকে বাড়িতে রেশন দেওয়া হয়। এ ছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের নার্সিং ও গরম খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করে এই কেন্দ্রগুলি। ফলে মহিলা ও তাঁর সন্তানের পুষ্টির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয় অঙ্গনওয়াড়ি। লকডাউনে যা রাতারাতি থমকে যায়। যার ফল ভুগতে হয় দেশের মহিলাদের।