এক্সপ্লোর
Advertisement
রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন: ভোটদানে বিরত আপের তোপ, পাল্টা কংগ্রেসের
নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থীর জয়ের পর বিরোধী শিবিরের দলগুলির মধ্যে কংগ্রেস সম্পর্কে চাপা অসন্তোষ প্রকাশ্যে বেরিয়ে পড়ল। তারা বলছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যেমন ডেপুটি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, নিজের দল জেডি (ইউ)এর হরিবংশ সিংহকে ভোট দেওয়ার জন্য নিজে বিজেডি, টিআরএস নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবেদন করেন, তেমনই কেন রাহুল গাঁধী আপের মতো দলগুলির কাছে গেলেন না, যারা বিরোধী প্রার্থী বি কে হরিপ্রসাদকে সমর্থন করতে পারত। শাসক জোটের প্রার্থীর জয়ে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার উদ্যোগ মার খাবে না বটে, কিন্তু কংগ্রেস সহযোগী দলগুলির কোনও একটি থেকে কাউকে প্রার্থী করত, তবে তিনি হয়তো আজ বেশি ভোট পেতেন। যে দলগুলি এখনও শাসক বা বিরোধী জোটে যাওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট অবস্থান নেয়নি, তাদের ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যায় কংগ্রেসের একজনকে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী করার ফলে।
এদিন হরিবংশ ১২৫টি ভোট পান, হরিপ্রসাদ পান ১০৫টি ভোট।
আপ এদিন ভোটদানে বিরত থেকে সরাসরি দুষেছে কংগ্রেসকে। দিল্লি থেকে রাজ্যসভায় আপের তিনজন আছেন। আপের রাজ্যসভা সদস্য সঞ্জয় সিংহ কংগ্রেস থেকে কেন তাঁদের বি কে হরিপ্রসাদকে ভোট দেওয়ার আবেদন করা হয়নি, সেই প্রশ্ন করে বলেন, কংগ্রেসই বিরোধী শিবিরের একজোট হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। রাহুল গাঁধী কী করে তাঁর প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করবেন যদি না ভোট না-ই চান!
গতকালই আপ জানিয়েছিল, রাহুল গাঁধী দলীয় সভাপতি অরবিন্দ কেজরীবালকে আবেদন করলে তাদের সাংসদরা হরিপ্রসাদকে ভোট দেবেন। সঞ্জয় সিংহ ক্ষোভের সুরে বলেন, তাঁরা রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও আরও অন্যান্য নির্বাচনে রাহুলের দলকে নিঃশর্ত সমর্থন করেছে, কিন্তু কংগ্রেস আপের থেকে দূরত্ব রেখে চলছে।
আবার পাল্টা আপকে দুষে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় মাকেন ট্যুইট করেন,সঞ্জয় সিংহ বলেন, গতকাল কেজরীবালকে ফোন করে হরিবংশ সিংহের জন্য সমর্থন চেয়েছিলেন নীতীশকুমার, যদিও কেজরীবাল সেই অনুরোধ রাখেননি। নীতীশকুমার তাঁর প্রার্থীর জন্য সমর্থন চাইতে পারলে রাহুল কেন পারেন না? আপ বলছে, রাজনীতিতে ইগো চলে না। আবার অরবিন্দ কেজরীবাল ফুঁসছেন রাহুল গাঁধীর ফোন না পেয়ে, তাই বিজেপিকে সাহায্য করলেন। এই যুক্তি মানলে ২০১৩-য় বিজেপি দিল্লিতে সরকার গড়ত, আপ ইতিহাস হয়ে যেত!
মাকেন এও লেখেন, ২০১৩-য় দিল্লিতে সরকার গড়তে আপকে সমর্থন করে কংগ্রেসের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমাদের সমর্থনে সরকার গড়ে আপনারা মিথ্যা ছড়ালেন, আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন, ২০১৪-য় বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করতে দিল্লিতে সব কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করালেন।
The arrogance which has set in AAP with lone Delhi victory, is bringing them down.
Politics is not being clever, cunning & dubious-As you all are.
Its about long term perspective+commitment to the cause, which AAP does not have!
That’s why AAP’s few good ones have left them!
— Ajay Maken (@ajaymaken) August 9, 2018
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে আপ, কংগ্রেস বোঝাপড়ার জল্পনার মধ্যেই এই সংঘাত দুদলের। গত লোকসভা ভোটে দিল্লির সাতটি লোকসভা কেন্দ্রেই জয়ী হয় বিজেপি, একটিও পায়নি কংগ্রেস, আপের কেউ।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
জেলার
জেলার
ক্রিকেট
Advertisement