এক্সপ্লোর
Advertisement
কেন্দ্রে মোদির জয়ের নেপথ্যে যুদ্ধ, টাকা ছিল, রাজ্যের ভোটে তা কাজে আসছে না, দাবি অমর্ত্য সেনের
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বক্তব্যকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, দীপক ঘোষ ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়
কলকাতা: উন্নয়ন আর বিভাজনের মধ্যে লড়াইয়ে দিল্লি বিধানসভা ভোটে জয় হয়েছে উন্নয়নের। এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে কি বাংলাতেও কৌশল বদলাবে বিজেপি? মেরুকরণের পরিবর্তে কি উন্নয়নের রাজনীতিতে জোর দিতে দেখা যেতে পারে তাদের? এই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই মেরুকরণের রাজনীতি নিয়ে উদ্বেগের সুর শোনা গেল অমর্ত্য সেনের গলায়।
মেরুকরণ প্রসঙ্গে এই নোবেলজয়ী বলেছেন, ‘এটা নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে একটা বচসা হোক এবং মারামারি হোক এই জিনিসটা আমরা কেউই চাই না। তার সঙ্গে বিজেপি-র রাজনীতির যোগ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এরকম হয়তো থাকতে পারে। এই কারণে আমার ধারণা যে এই প্রশ্নটা ভালোভাবেই আসবে। কিন্তু সেটা এখনই বিচার করা খুব সহজ নয়।’
দিল্লিতে কেজরিওয়ালের জয়ের মধ্যেও ইতিবাচক ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘দিল্লির ইলেকশনে কেজরিওয়ালের দল জিতেছে তাতে খুশি হওয়ার অনেক কারণ আছে। প্রধানত ভালো হাসপাতাল স্কুল চালানো সেটা একটা বড় কথা। বিজেপি থেকে সত্যিই হিন্দু-মুসলমানে একটা পার্থক্য করা হয় এবং মুসলমানের অধিকার তার কিছু কিছু বাদ দেওয়া হয়। সেরকম কিছু কিন্তু কেজরিওয়াল করেননি। কেন্দ্রে মোদির জয়ের নেপথ্যে যুদ্ধ, টাকা ছিল। রাজ্যের ভোটে তা কাজে আসছে না।’
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বক্তব্যকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ‘ওঁরাতো খুব শিক্ষিত লোক। অক্সফোর্ডের লোকেরা বুঝতে পারে। উনি যা বলছেন তা আদৌ বোধগম্য নয়।’
যদিও, অমর্ত্য সেনের মন্তব্যের মধ্যে যৌক্তিকতা রয়েছে বলে মত বাম-তৃণমূলের। সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ির মন্তব্য, ‘এই উদ্বেগগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দু-মুসলমান নিয়ে রাজনীতি করতে চায়। কিন্তু এখানে এত সোজা নয়। মানুষ প্রতিহত করবে।’
পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায় বলেছেন, ‘যাদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ আছে তারা তো একথাই বলবেন। মেরুকরণের কথা বলে ভোট নেওয়াকে সমর্থন করা যায় না। এটা কাম্য নয়।’
কংগ্রেস আবার বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধেও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগে সরব। কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, ‘রাজ্য সরকার যদি ঠিক থাকে, তাহলে কিছু হবে না। কিন্তু মুশকিল হল, মমতাও সাম্প্রদায়িক তাস খেলেন।’
আর কিছুদিনের মধ্যেই পুরভোটের দামামা বেজে যাবে। তার প্রচারেই বোঝা যাবে কোন দল কোন কৌশল নিল।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement