Assam Population Control:দুই সন্তান নীতি চালু হতে চলেছে অসমে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশর্মা
গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি রূপায়ন করব। স্কুল ও কলেজে ভর্তি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ির মতো কয়েকটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে দুই সন্তান নীতি চালু করা যাবে না। প্রত্যেকেই এর সুবিধা পাবেন।
গুয়াহাটি: সরকারি সুবিধা পেতে দুই সন্তান নীতির দিকেই এগোচ্ছে অসম। এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।তিনি বলেছেন, তাঁর এই বার্তাকে ঘোষণা হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঋণ মকুবই হোক বা সরকারি প্রকল্প, জনসংখ্যা নীতি সংক্রান্ত নিয়ম বিবেচনা করা হবে। তবে চা-বাগানের শ্রমিক এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। ভবিষ্যতে সমস্ত সরকারি সুবিধা সংক্রান্ত প্রকল্পের ক্ষেত্রে এই জনসংখ্যা নীতি বিবেচিত হবে। জনসংখ্যা নীতি চালু হয়েছে।উল্লেখ্য, রাজ্যে ইতিমধ্যেই দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে সরকারি চাকরি ও স্থানীয় নির্বাচনে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। এবার রাজ্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেই দুই সন্তান নীতি চালু করতে চলেছে।
গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি রূপায়ন করব। স্কুল ও কলেজে ভর্তি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ির মতো কয়েকটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে দুই সন্তান নীতি চালু করা যাবে না। প্রত্যেকেই এর সুবিধা পাবেন। কিন্তু ভবিষ্যতে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য যদি মুখ্যমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো প্রকল্প চালু হয়, তাহলে দুই সন্তান নীতি প্রযোজ্য হবে। একইভাবে ধীরে ধীরে কিছু বাছাই প্রকল্পে জনসংখ্যা নীতি প্রয়োগ করা হবে।
গত মাসেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন হিমন্ত। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে দুই সন্তান নীতির হয়ে সওয়াল করছেন। গত ১০ জুন রাজ্যের তিনটি জেলার উচ্ছেদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বার্তা দিয়েছিলেন। দারিদ্র কমাতে তিনি ভদ্রস্থ পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দারিদ্র দূরীকরণের জন্য সংখ্যালঘু মহিলাদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে হবে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দারিদ্র দূরীকরণে সরকার সব ধরনের চেষ্টা করবে। কিন্তু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে দারিদ্র নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।