Live Updates: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে হতাহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান, কংগ্রেসকর্মীদের রাহুল, পঞ্জাবে চালু করতে দেবেন না, ঘোষণা অমরিন্দরের
LIVE
Background
নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থনে জনমত জোরদার করতে নরেন্দ্র মোদির হাতিয়ার ট্যুইটার। ‘#IndiaSupportsCAA’ বা ‘ভারত সিএএ সমর্থন করে’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে এই আইন কাউকে তার নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার জন্য নয় বলে ফের সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ভারত সিএএ-কে সমর্থন করে কেননা তা কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, অত্যাচারিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য।
এই আইন সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে, তা সমর্থন করার জন্য নমো মোবাইল অ্যাপ খুটিয়ে দেখতেও দেশবাসীকে আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইট করেছেন, কনটেন্ট, গ্রাফিকস, ভিডিও এবং আরও কিছুর জন্য নমো অ্যাপে ভলান্টিয়ার মডিউলে ইওর ভয়েস সেকশনে এই হ্যাশট্যাগের সন্ধান করুন। সিএএ সমর্থন করুন, আপনার সমর্থন শেয়ারও করুন।
Do hear this lucid explanation of aspects relating to CAA and more by @SadhguruJV.
— Narendra Modi (@narendramodi) December 30, 2019
He provides historical context, brilliantly highlights our culture of brotherhood. He also calls out the misinformation by vested interest groups. #IndiaSupportsCAA https://t.co/97CW4EQZ7Z
পাশাপাশি সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবের একটি ভিডিও শেয়ার করেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সিএএ-র নানা দিক নিয়ে সদগুরুজেভির সহজ ব্যাখ্যা এবং আরও কিছু শুনুন। আমাদের ভ্রাতৃত্বের সংস্কৃতি দারুণ ভাবে তুলে ধরেছেন, তার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। কিছু কায়েমী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর ছড়ানো ভুল তথ্য, প্রচারের জালও ছিঁড়েছেন তিনি।
সিএএ সমর্থন করে ‘এটা অনেক দেরিতে এল, খুবই সামান্য বলে’ উল্লেখ করেছেন সদগুরু। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী ও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ নিয়ে এক সভায় তিনি বলেন, আমার অভিমত, সিএএ-তে খুবই সামান্য সহানুভূতি দেখানো হয়েছে, এটা আনতে অনেক দেরিও হল। বিলে শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় রাস্তায় যে প্রতিক্রিয়া দেখছি, যে তীব্রতার সঙ্গে লোকে এর বিরোধিতা করছে, সেটা দেখে হতবাক হয়ে ভাবছি, কিছুই কি পাওয়ার নেই, কিছু বুঝতে কি ভুল হল আমার? লোকে এক বিপজ্জনক খেলায় মেতেছে। মনে হয়, কিছু মানুষ মরিয়া হয়ে ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর নিরক্ষর অংশকে ভুল বোঝাচ্ছে। এখানকার ভারতীয় মুসলিমরা নাগরিকত্ব হারাবে, এটা ধরে নিয়ে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। যে ‘ভয়ঙ্কর মাত্রায় দুষ্কর্ম হয়েছে, তা হওয়া উচিত ছিল না’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক। আজকের সময়ে যখন আপনি স্রেফ ফোনটা চালু করেই আইনটা পড়ে নিতে পারেন, তখন এর মানে কী! যে কোনও পড়ুয়াই এটা পড়তে পারে। কিন্তু ওরা সবাই অশিক্ষিত লোকজনের মতো আচরণ করছে। দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া, কিন্তু আইনটা পড়তে পারছে না, এটা কেমন ব্যাপার? এমনটা যে ঘটছে, এটাই দুঃখজনক। তবে সরকারও বিষয়টা ঠিকঠাক মানুষকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সদগুরু।
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বোঝাতে চেয়েছেন, নয়া নাগরিকত্ব আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। এতে সংখ্যালঘুরা সমেত কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা নেই, শুধুমাত্র বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত অমুসলিম উদ্বাস্তুদের এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
তবে নয়া নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (এনআরসি) বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ বিক্ষোভ হিংসাত্মক চেহারা নেওয়ায় কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি, ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। ব্যাপক অশান্তি, হিংসার ছড়াছড়ি দেখা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও অসম, বেঙ্গালুরু সহ নানা জায়গায়। বিজেপির জোটসঙ্গী জেডি (ইউ)পরিচালিত বিহার সহ আধ ডজনের বেশি রাজ্যের ক্ষমতাসীন সরকারগুলি দেশব্যাপী এনআরসির বিরোধিতা করেছেন। এনআরসির সূচনার প্রাথমিক ধাপ বলে দাবি করে অন্তত দুটি রাজ্য জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জী (এনপিআর) করতে দেবে না বলেও ঘোষণা করেছে।