Live Updates: সাঁকরাইলে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিল থেকে পুলিশকে বোমা, জখম হাওড়া সিটি পুলিসের ডিসি, ২ পুলিশকর্মী
LIVE
Background
নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাশ হওয়ার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ থেকে প্রবল অশান্তি ছড়াল। একদল বিক্ষোভকারী মারমুখী হয়ে উঠে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়ে উত্তরপূর্ব দিল্লির সিলমপুর এলাকায়। তারা একাধিক বাইকে আগুন ধরায়, সরকারি বাস ভাঙচুর করে। কোথাও কোথাও লুঠপাট চলে বলেও অভিযোগ। নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গত পরশু অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আবাসিক কলোনি। দেশের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়ার পড়ুয়ারাও প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন। পাল্টা তাঁদের ক্যাম্পাসে ঢুকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। তার মধ্যেই আজ ফের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সিলমপুর। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। অন্তত স্থানীয় দুটি মহল্লা থেকে কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী উঠতে দেখা যায়। ট্রাফিক পুলিশের দুটি বাইক বিক্ষোভকারীরা জ্বালিয়ে দিয়েছে, একটি পুলিশ বুথে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্যাপক হিংসার পর পুলিশ নামে। সাময়িক বন্ধ থাকে সীলামপুর ও গোকুলপুরী মেট্রো স্টেশন।
বিক্ষোভকারীরা সিলামপুর থেকে জাফরাবাদের দিকে মিছিল করে যাচ্ছিল। সিলমপুর চকে নিরাপত্তাবাহিনী মিছিল এগতে বাধা দিলে পুলিশ, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জনৈক পদস্থ পুলিশ অফিসার জানান, বেলা ১২টা নাগাদ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল লোকজন নতুন নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)র বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। রবিবার বিকালে জামিয়ার পড়ুয়াদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ তুলেও তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় প্রায় ২ হাজার লোক। স্থানীয় মসজিদ থেকে শান্তিরক্ষার, কোনওরকম হিংসার রাস্তা না হাঁটার আবেদন করা হয় বারবার। আজকের বিক্ষোভ, অশান্তির পিছনে কোন সংগঠন রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। জনৈক স্থানীয় রাজনীতিকের দাবি, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদই হচ্ছিল, কিছু দুষ্কৃতী ভিড়ে মিশে গিয়ে হিংসা ছড়ায়। বিক্ষোভস্থল থেকে অ্যাসিডের বোতল ছোড়ার অভিযোগ করেছেন জনৈক পুলিশকর্মী। তাঁর পায়ের কিছু জায়গা পুড়ে গিয়েছে অ্যাসিডে।
একটি সূত্রের খবর, স্থানীয় পিস কমিটির লোকজনের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভস্থল ছেড়ে দিল্লি পুলিশ ও বিশেষ ফোর্সের কিছু টিম ফিরে যায়।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জনসাধারণকে শান্তিরক্ষার আবেদন জানিয়ে হিংসায় কোনও লাভই হয় না বলে অভিমত জানিয়েছেন। ট্যুইটে লিখেছেন, সব দিল্লিবাসীকে শান্তিরক্ষার আবেদন করছি। কোনও ধরনের হিংসাই সভ্য সমাজে বরদাস্ত করা যায় না। হিংসায় কিছুই মেলে না। শান্তিপূর্ণ উপায়ে আবেগ, ক্ষোভ জানান।