আর্থিক মন্দার প্রভাবে চলতি অর্থবর্ষে ১৬ লক্ষ চাকরি কমবে, বলছে স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট
চলতি ১৯-২০ অর্থবর্ষ (অর্থাৎ, আগামী মার্চ মাসে শেষ হতে চলা) সেই সংখ্যাটি অন্তত ১৬ লক্ষ কমবে।
মুম্বই: আর্থিক মন্দার মধ্যেই ঘোর দুঃসংবাদ। চলতি ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে দেশে তৈরি হওয়া মোট চাকরির সংখ্যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় ১৬ লক্ষ কম হতে পারে। এমনই আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিসার্চ রিপোর্টে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সৌম্যকান্তি ঘোষের তৈরি এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রভিডেন্ট ফান্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে পে-রোলে মোট ৮৯. ৭ লক্ষ চাকরি হয়েছিল। চলতি ১৯-২০ অর্থবর্ষ (অর্থাৎ, আগামী মার্চ মাসে শেষ হতে চলা) সেই সংখ্যাটি অন্তত ১৬ লক্ষ কমবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এপ্রিল-অক্টোবর অনুযায়ী প্রকৃত নতুন পে-রোল হল ৪৩.১ লক্ষ। প্রবণতা বলছে, অর্থবর্ষের শেষে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৭৩.৯ লক্ষে। এসবিআই রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে অর্থনীতির বৃদ্ধির হারের পূর্বাভাস কমে ৫ শতাংশ হয়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে চাকরির বাজারে। মন্থর গতিতে চলা অর্থনীতির ফলে চাকরির বাজারেও মন্দা এসেছে। এই প্রবণতা বজায় থাকলে, চলতি অর্থবর্ষের শেষে অন্তত ১৫.৮ লক্ষ চাকরি কম তৈরি হবে। প্রভিডেন্ট ফান্ডের এই তথ্য মূলত কম-বেতনভুক্ত চাকরি সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তৈরি। এসব চাকরির ক্ষেত্রে বেতনের ঊর্ধ্বসীমা মাসে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারি এবং বেসরকারি চাকরি সংক্রান্ত তথ্য এই এই পরিসংখ্যানের আওতায় নেই। কারণ, তা ২০০৪ সাল থেকে এই পরিসংখ্যান প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে জাতীয় পেনসন যোজনার (এনপিএস) অন্তর্গত। তবে, সেখানেও স্বস্তির খবর নেই। কারণ, এনপিএস তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে ৩৯ হাজার চাকরি কম তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সৌম্যকান্তি ঘোষের তৈরি রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, নিজেদের ঘর ও পরিবারকে পাঠানো অর্থের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন প্রবাসে কর্মরতরা। এর অর্থ, তাঁদেরও আয় কমেছে। এই ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়েছে অসম, বিহার, রাজস্থান, ওড়িশা ও উত্তরপ্রদেশে। পাশাপাশি, দেউলিয়া প্রক্রিয়ার আওতায় জমে থাকা বকেয়া মামলার নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হওয়ার ফলেও বহু সংস্থা চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক ছাঁটাই করার দিকে ঝুঁকেছে। এর ফলেও, বিরূপ প্রভাব পড়েছে কর্মসংস্থানে।