করোনা মোকাবিলায় বড়সড় লকডাউন জারির পথে হাঁটবে না কেন্দ্র, জানালেন সীতারামন
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতীরামন জানিয়েছেন যে, দেশে বড়সড় লকডাউনের পথে হাঁটবে না সরকার। এক্ষেত্রে স্থানীয় কনটেনমেন্টের ওপরই জোর দেওয়া হবে।
![করোনা মোকাবিলায় বড়সড় লকডাউন জারির পথে হাঁটবে না কেন্দ্র, জানালেন সীতারামন India not to Impose Lockdowns in big way to counter coronavirus , Finance minister Nirmala Sitharaman says করোনা মোকাবিলায় বড়সড় লকডাউন জারির পথে হাঁটবে না কেন্দ্র, জানালেন সীতারামন](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/04/01/0b14a08139a01641be36736b4c1c2881_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতীরামন জানিয়েছেন যে, দেশে বড়সড় লকডাউনের পথে হাঁটবে না সরকার। এক্ষেত্রে স্থানীয় কনটেনমেন্টের ওপরই জোর দেওয়া হবে।
বিশ্ব ব্যাঙ্ক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে সীতারামন উন্নয়নের তহবিলর যোগান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতের জন্য ঋণপ্রদানের পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগ এই আন্তর্জাতির প্রতিষ্ঠান নিয়েছে, তার প্রশংসা করেছেন।
অর্থমন্ত্রক এক ট্যুইটে জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে কেন্দ্রের গৃহীত পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে জানিয়েছেন সীতারামন। এই পঞ্চমুখী কৌশলের মধ্যে রয়েছ টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট-ভ্যাকসিনেসন এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধি পালন।
সীতারামন বলেছেন, এখন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। বড়সড় ভাবে দেশে লকডাউন জারি হবে, এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। অর্থনীতি পুরোপুরি থমকে যাক, এমন আমরা চাই না। আক্রান্তদের বা সেই সমস্ত পরিবার যাঁরা কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন, সেক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে আইসোলেশনের মাধ্যমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করা হবে। দেশে লকডাউন জারি করা হবে না।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডেভিড মালপাস ও সীতারামনের মধ্যে বিশ্ব ব্যাঙ্ক গ্রুপের সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্বের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের সুবৃহৎ টিকা উৎপাদন ক্ষমতা সহ কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গৃহীত উদ্যোগগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কোভিড মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতির কথা আরও একবার জানিয়েছেন ডেভিল মালপাস। সেইসঙ্গে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও সামগ্রিক অগ্রগতির ক্ষেত্রেও ভারতের পাশে থাকার অঙ্গীকারের প্রসঙ্গও আরও একবার উল্লেখ করেছেন তিনি।
বর্তমানে দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাসের দাপট।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের গতি আরও বেশি। বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই গতি অব্যাহত থাকায় নতুন করে করোনা সংক্রমিত এক লক্ষ একষট্টি হাজার সাতশো ছত্রিশ জন।মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কারণে মারা গিয়েছেন আটশো উনআশি জন।
এই নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল এক কোটি ছত্রিশ লক্ষ উননব্বই হাজার চারশো তিপান্ন জন। মোট মৃত্যু এক লাখ একাত্তর হাজার আটান্ন জনের। করোনায় সর্বাধিক আক্রান্তের তালিকায় দুনম্বরে ভারত। অ্যামেরিকার পরেই।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)