Love Jihad: বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার আগে লাভ জিহাদ নিয়ে সরব ‘মেট্রো ম্যান’
Metro Man E Sreedharan: শুধু হিন্দুই নয়, মুসলিম, খ্রিস্টান মেয়েদেরও ফাঁদে ফেলে বিয়ে করা হচ্ছে, দাবি শ্রীধরনের।
কোচি: বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণার পরেই ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে সরব হলেন ‘মেট্রো ম্যান’ হিসেবে পরিচিত ই শ্রীধরন। তাঁর মন্তব্য, ‘কেরলে কী হয়, সেটা আমি দেখেছি। হিন্দু মেয়েদের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শুধু হিন্দুই নয়, মুসলিম, খ্রিস্টান মেয়েদেরও ফাঁদে ফেলে বিয়ে করা হচ্ছে। আমি এটার বিরোধিতা করব।’
‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মতো বিজেপি-শাসিত রাজ্যে ‘লাভ জিহাদ’ রোখার জন্য আইন আনা হয়েছে। এ বিষয়েই নিজের মতামত জানালেন শ্রীধরন।
৮৮ বছর বয়সি এই টেকনোক্র্যাট আগামী সপ্তাহে বিজেপি-তে যোগ দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘কেরলে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি যদি চায়, তাহলে আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি। আমি মুখ্যমন্ত্রী না হলে যে যে কাজ করতে চাইছি, সেগুলির উপর গুরুত্ব দিতে পারব না। আমি রাজ্যপাল হতে চাই না। কারণ, সেটা পুরোপুরি সাংবিধানিক পদ। কোনও ক্ষমতাই নেই।’
শ্রীধরন আরও বলেছেন, ‘কেরল দেনার ফাঁদে জড়িয়ে গিয়েছে। প্রচুর ধার হয়ে গিয়েছে। আজ প্রত্যেক মালয়লির ধার ১.২ লক্ষ টাকার। তার মানে আমরা দেউলিয়া হওয়ার দিকে এগোচ্ছি। তারপরেও সরকার ধার নিয়ে চলেছে। রাজ্যের অর্থনীতিকে ঠিক পথে আনতে হবে। আমাদের সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’
কেরলের শাসক জোট এলডিএফ ও বিরোধী ইউডিএফ-কে আক্রমণ করে ‘মেট্রো ম্যান’ বলেছেন, ‘আমি কেন বিজেপি-কে বেছে নিলাম, সেটা আলাদা কারণ। কেরলের অন্য দুই পক্ষ ইউডিএফ ও এলডিএফ পালা করে কেরল শাসন করছে। তারা রাজ্যের কোনও উন্নতি করতে পারেনি। গত ২০ বছরে রাজ্যে একটিও শিল্প আসেনি। ওরা সবসময়ই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ঝগড়া করে। দুই সরকার অনেক বিষয়েই চোখে চোখ রাখতে পারে না। তার ফলে রাজ্যের উন্নতি ধাক্কা খাচ্ছে। এখানে যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে ভারত সরকারের সঙ্গে তাদের ভাল সম্পর্ক থাকবে।’