ভেস্তে গেল ষষ্ঠ বিয়ের পরিকল্পনা,পুলিশের জালে স্বঘোষিত তান্ত্রিক
অভিযোগ অনুসারে, স্বঘোষিত তান্ত্রিক অনুজ প্রথমবার মৈনপুরী জেলার এক মহিলাকে ২০০৫ সালে বিয়ে করেছিল। এরপর ২০১০-র বরেলির এক মহিলাকে বিয়ে করে সে। ২০১৪-তে আউরাইয়ার এক মহিলাকে বিয়ে করে অনুজ। এখানেই থেমে থাকেনি সে। এরপর সে তার তৃতীয় স্ত্রীর তুতো বোনকে বিয়ে করে। অনুজের চতুর্থ স্ত্রী স্বামীর অপকর্মের জন্য আত্মঘাতী হন।
লখনউ: ষষ্ঠবারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসা হল না এক স্বঘোষিত তান্ত্রিক। বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল এই পরিকল্পনা। কিন্তু পুলিশের চেষ্টায় ভেস্তে গেল ওই তান্ত্রিকের পরিকল্পনা। ষষ্ঠবারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল সে। উত্তরপ্রদেশের কিদওয়াই নগর থানায় তার পঞ্চম স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই তান্ত্রিককে গ্রেফতার করেছে।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) রবিনা ত্যাগী বলেছেন, ধৃতের নাম অনুজ চেতন কাঠেরিয়া। সে শাহজাহানপুরের বাসিন্দা। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ অনুসারে, স্বঘোষিত তান্ত্রিক অনুজ প্রথমবার মৈনপুরী জেলার এক মহিলাকে ২০০৫ সালে বিয়ে করেছিল। এরপর ২০১০-র বরেলির এক মহিলাকে বিয়ে করে সে। ২০১৪-তে আউরাইয়ার এক মহিলাকে বিয়ে করে অনুজ। এখানেই থেমে থাকেনি সে। এরপর সে তার তৃতীয় স্ত্রীর তুতো বোনকে বিয়ে করে। অনুজের চতুর্থ স্ত্রী স্বামীর অপকর্মের জন্য আত্মঘাতী হন।
২০১৬-তে শাহজাহানপুরে নিজের ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অনুজকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৯-এ অনুজ ফের কানপুরের এক মহিলাকে বিয়ে করে। ওই মহিলা তার পঞ্চম স্ত্রী। বিয়ের পরই তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করতে শুরু করে অনুজ। পরে জোর বিকৃত যৌনসম্পর্ক লিপ্ত হতে পঞ্চম স্ত্রীকে বাধ্য করে অনুজ। সেইসঙ্গে অন্যান্য অস্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করে অনুজ। এতে বাধা দিলে অনুজ তার পঞ্চম স্ত্রীকে মারধর করে এবং এমনকি তাঁকে হত্যা করার চেষ্টাও করে বলে অভিযোগ। পরে ওই মহিলা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭, ৩২৩ ও ৩০৭ ধারায় অনুজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ডিসিপি (দক্ষিণ) জানিয়েছেন, তদন্ত অনুজের আরও কিছু অপকীর্তি সামনে আসে। গ্রেফতার এড়াতে অভিযুক্ত পরপর ঠিকানা পাল্টাতে থাকে। শুক্রবার রাতে কিদওয়াই নগরে তার হদিশ মেলে। সেই অনুসারে ফাঁদ পাতে পুলিশ। সেই ফাঁদে পা দিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে অভিযুক্ত প্রতারক।
অষ্টম শ্রেণীর পর পড়াশোনা ছেড়ে দিলেও অনুজ নিজেকে বিজ্ঞানের স্নাতক বলে দাবি করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের মাধ্যমেও সে ফাঁদ পাতত। বর্তমানে সে ৩২ জন মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিল এবং ষষ্ঠবার বিয়ের ছক কষেছিল। সে নিজেকে কখনও শিক্ষক , কখনও হোটেল ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিত।