এক্সপ্লোর
Advertisement
মোদি, ডোভালের সঙ্গে সাক্ষাত্, কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কাল যাচ্ছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট প্রতিনিধিদল
ধানমন্ত্রী প্রতিনিধিদলটিকে বলেন, যারা সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে, তার পৃষ্ঠপোষকতা করে বা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী, তাদের কার্যকলাপে মদত দেয়, সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসাবে কাজে লাগায়, তাদের সবার বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ করা দরকার। সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স অর্থাত তা বিন্দুমাত্র সহ্য না করার নীতি থাকা উচিত।
নয়াদিল্লি: আগামীকাল কাশ্মীর সফরে আসছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট প্রতিনিধিদল। প্রায় ২৮ এমপির দলটি আজই নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে দেখা করে। ওই দলের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় তাঁদের। দলটির উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা আছে। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দলটিকে অবহিত করেন মোদি, ডোভাল। প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধিদলটিকে বলেন, যারা সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে, তার পৃষ্ঠপোষকতা করে বা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী, তাদের কার্যকলাপে মদত দেয়, সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসাবে কাজে লাগায়, তাদের সবার বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ করা দরকার। সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স অর্থাত তা বিন্দুমাত্র সহ্য না করার নীতি থাকা উচিত।
BN Dunn,Member of European Parliament: Yes we are going there(J&K) tomorrow. The Prime Minister explained to us about it(abrogation of article 370) but I want to see on the ground how it actually is& talk to some local people. What we all want is normalcy and peace for everyone. https://t.co/PdX4xhLM3s pic.twitter.com/8H1q2x7uVL
— ANI (@ANI) October 28, 2019
গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর সেখানকার পরিস্থিতির ওপর লাগাতার নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের। এই প্রেক্ষাপটেই সফরে আসছে ইউরোপীয় দলটি।
এই খবরের প্রেক্ষিতেই মায়ের ট্যুইটার হ্যান্ডলে প্রতিক্রিয়া দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা লিখেছেন, ওঁরা স্থানীয় মানুষজন, মিডিয়া, ডাক্তার, নাগরিক সমাজের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন আশা করছি। কাশ্মীর ও সারা বিশ্বের মধ্যে যে লৌহসদৃশ দেওয়াল রয়েছে, সেটা তুলে নেওয়া দরকার, জম্মু ও কাশ্মীরকে অশান্তি, গণ্ডগোলের মধ্যে ফেলায় দায়ী করা উচিত অবশ্যই সরকারকে। ইলতিজার অভিযোগ, রাজ্যে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার ও আটক নাগরিকদের মুক্তির ব্যাপারে ৩৭০ অনু্চ্ছেদ বাতিলের দুমাসের বেশি কেটে যাওয়ার পরও কেন্দ্র মিথ্যা বলছে। ১৪৪ ধারা এখনও পুরো মাত্রায় বহাল রয়েছে।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর কিছু বিধিনিষেধ জারির পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মিডিয়া, মহলের নজরে উপত্যকা। একাধিক মার্কিন ও ব্রিটিশ জনপ্রতিনিধি ভারত সরকারকে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে যাবতীয় যোগাযোগ মাধ্যম ফের চালু ও ৫ আগস্ট গ্রেফতারির পর বন্দি হয়ে থাকা কয়েক হাজার যুবক, রাজনীতিবিদের মুক্তির আবেদন করেছেন।
আজ নিয়ে টানা ৮৫ দিন জম্মু ও কাশ্মীরে স্বাভাবিক জনজীবন থমকে রয়েছে। স্কুল ফের চালু করার সরকারি প্রয়াস সফল হয়নি নিরাপত্তার কথা ভেবে বাবা-মারা ছেলেমেয়েদের সেখানে পাঠাতে রাজি না হওয়ায়। ল্যান্ডলাইন ও পোস্টপেইড মোবাইল পরিষেবা চালু হয়েছে, তবে ইন্টারনেট পরিষেবা আজও বন্ধ।
যদিও সেখানে জবরদস্তি বিধিনিষেধ চাপানোর অভিযোগ উড়িয়ে একদল বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের তিন অঞ্চলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তবে সব অঞ্চল, মানুষের সমান উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে আস্থাবর্ধক ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহের অবশ্য দাবি, সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক। প্রচলিত ধারণার উল্টোই হয়েছে, ৩৭০ ধারার আওতায় সবচেয়ে বেশি শোষিতই হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
খবর
খবর
Advertisement