রাফাল: রাজনাথকে সমর্থন, শস্ত্র পূজায় কোনও অন্যায় নেই! ট্যুইট পাক সেনা মুখপাত্রের

সংবিধানের ৩৭০ অনু্চ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর তেতে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান সম্পর্ক। ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় নানা মহলে সরব পাকিস্তান, যদিও তেমন সাড়া পায়নি। সেই সময়েই রাজনাথের ফ্রান্স সফরে প্রথম রাফাল যুদ্ধবিমানটি গ্রহণের অনুষ্ঠানে বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে শস্ত্র পূজার ইস্যুতে সমর্থন পাক সামরিক কর্তার।

ইসলামাবাদ: কাশ্মীর সহ হাজারো ইস্যুতে যতই দুদেশের বিরোধ থাকুক, রাফাল জেটবিমান পুজো করা নিয়ে কিন্তু ঘরের মাটিতে সমালোচনার মুখে পড়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের পাশে দাঁড়ালেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর আসিফ গফুর! রাজনাথের ‘শস্ত্র পূজা’য় কোনও অন্যায় হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। ভারতীয়দের অবাক করে দিতে পারে তাঁর মতামত। গফুর ট্যুইট করেছেন, ধর্মীয় রীতিতে এটা চলে, তাই রাফাল পুজোয় ভুল, অন্যায় কিছুই হয়নি। এই রীতি সম্মান করাই উচিত। দয়া করে মনে রাখবেন, এটা শুধুই যন্ত্রের ব্যাপার নয়, যে মানুষগুলো তাকে চালায়, তাদের দক্ষতা, আবেগ, দৃঢ়তা, প্রতিজ্ঞাও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পাকিস্তানি বায়ুসেনার শাহিনদের জন্য গর্বিত।

Nothing wrong in #RafalePuja as it goes by the religion and that must be respected.
Please remember....it’s not the machine alone which matters but competence, passion & resolve of the men handling that machine.
Proud of our PAF Shaheens.#PAFtheMenAtTheirBest

— Asif Ghafoor (@peaceforchange) October 10, 2019

সংবিধানের ৩৭০ অনু্চ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর তেতে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান সম্পর্ক। ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় নানা মহলে সরব পাকিস্তান, যদিও তেমন সাড়া পায়নি। সেই সময়েই রাজনাথের ফ্রান্স সফরে প্রথম রাফাল যুদ্ধবিমানটি গ্রহণের অনুষ্ঠানে বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে শস্ত্র পূজার ইস্যুতে সমর্থন পাক সামরিক কর্তার। রাজনাথ সেখানে রাফালের গায়ে ওম লেখেন, ফুলপাতা, নারকেল, লেবু দিয়ে পুজো করেন, যা হিন্দু রীতি অনুসারে অশুভ শক্তিকে রুখে দেয় বলে বিশ্বাস করা হয়। এজন্য দেশের ভিতরে নানা মহলের প্রবল নিন্দা, কটাক্ষ শুনতে হয় তাঁকে। কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে রাজনাথের শস্ত্র পূজাকে ‘তামাসা’ বলে মন্তব্য করেন। আরেক কংগ্রেস নেতা উদিত রাজও আপত্তি তুলে বলেন, যেদিন এমন ‘কুসংস্কারে’র অবসান হবে, সেদিন ভারত নিজের যুদ্ধবিমান তৈরি শুরু করবে।