এক্সপ্লোর
Advertisement
সোমবার থেকে পোস্টপেড মোবাইল পরিষেবা ফিরছে কাশ্মীরে, এখনই নয় ইন্টারনেট সংযোগ
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ভোগ করায় ইতি টেনে তাকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সওয়াল করে, এর ফলে সেখানকার মানুষ দেশের বাকি অংশের মতোই সমান সাংবিধানিক মর্যাদা ও উন্নয়নের সুফল পাবেন। এর পাল্টা হিংসাত্মক, বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় ব্যাপক নিরাপত্তার বন্দোবস্ত, বিধিনিষেধ জারি করে সরকার, রাজনীতিকদের গ্রেফতার সহ যোগাযোগ সংক্রান্ত বিবিধ পদক্ষেপ করে, পর্যটকদের রাজ্য থেকে বের করে এনে সেখানে অতিরিক্ত সেনা জওয়ান মোতায়েনও করে। পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়।
শ্রীনগর: অবশেষে জম্মু ও কাশ্মীরে স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ফেরানোর লক্ষ্যে আরেক পা বাড়াল প্রশাসন। সোমবার রাজ্যে পোস্টপেড মোবাইল পরিষেবা ফের চালু হচ্ছে বলে জানালেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব রোহিত কানসাল। ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরপরই রাজ্যে যোগাযোগ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি করে ল্যান্ডলাইন, মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে ল্যান্ডলাইন সংযোগ ফের চালু হয়। তবে মোবাইল সার্ভিস স্তব্ধই ছিল। শনিবার জানানো হল, সোমবার থেকে বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ৬৯-তম দিনে পোস্টপেড মোবাইল গ্রাহকরা ফের পরিষেবা পাবেন। কানসাল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, মোবাইল ফোন সংযোগ, স্পষ্ট করে বলতে গেলে, সব পোস্টপেড মোবাইল কানেকশন, পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা নির্বিশেষে ১৪ অক্টোবর, সোমবার দুপুর থেকে ফের চালু হচ্ছে। রাজ্যব্যাপী কাশ্মীরের ১০টি জেলার সর্বত্র এই পরিষেবা মিলবে।
যদিও ইন্টারনেট পরিষেবা আবার পাওয়ার জন্য আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।
কানসাল বলেন, বাইরের মদতপ্রাপ্ত সন্ত্রাসবাদের জেরে যাতে প্রাণহানি না ঘটে, সেজন্যই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। এইসব পদক্ষেপে অযথা প্রাণহানি রোধ সুনিশ্চিত করা গিয়েছিল। ২০০৮, ২০১০, ২০১৬-য় যাসব ঘটেছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে এটা উল্লেখ করার মতোই বিষয়। পাশাপাশি আটক হওয়া রাজনৈতিক নেতাদেরও পরপর মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এটা একটা ‘সচল প্রক্রিয়া’, বলেন তিনি।
দিনকয়েক আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের দরজা পর্যটকদের জন্য ফের খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ভোগ করায় ইতি টেনে তাকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সওয়াল করে, এর ফলে সেখানকার মানুষ দেশের বাকি অংশের মতোই সমান সাংবিধানিক মর্যাদা ও উন্নয়নের সুফল পাবেন। এর পাল্টা হিংসাত্মক, বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় ব্যাপক নিরাপত্তার বন্দোবস্ত, বিধিনিষেধ জারি করে সরকার, রাজনীতিকদের গ্রেফতার সহ যোগাযোগ সংক্রান্ত বিবিধ পদক্ষেপ করে, পর্যটকদের রাজ্য থেকে বের করে এনে সেখানে অতিরিক্ত সেনা জওয়ান মোতায়েনও করে। পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়।
আমেরিকা সহ বহু দেশ বিধিনিষেধের নিন্দা করে উদ্বেগ জানায়। গত মাসে বেলজিয়ামের একটি ম্যাগাজিনের প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, জঙ্গিদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে এমন কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়, যার প্রভাব গোটা কাশ্মীরে পড়বে না। কী করে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে তাদের প্রভুদের যোগাযোগ বন্ধ রাখব, কিন্তু বাকি জনগণের জন্য ইন্টারনেট চালু রাখব? আমার জানতে ইচ্ছা হয়।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
বিজ্ঞান
Advertisement