Christmas Eve: ক্রিসমাস ইভে প্রথা মেলে যীশু আরাধনা বেলুড় মঠ ও কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে
Belur Math and Kamarpukur Ramkrishna Math Mission: রাত পোহালেই ক্রিসমাস। তার আগে সেজে উঠেছে সারা শহর। তবে বেলুড়মাঠ ও কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ছবিটা একেবারে আলাদা।
ভাস্কর ঘোষ, বাপান সাঁতরা, কলকাতা: ক্রিসমাস ইভে যখন মেতে ওঠে সারা শহর, তখন শহরতলির এই দুটি স্থানে প্রত্যেক বছর ক্রিসমাস পালিত হয় একেবারে অন্যরকম ভাবে। ব্যতিক্রম হল না এবারেও। এবার ক্রিসমাসের আগের সন্ধ্যায় বেলুড়মঠে মহা আড়ম্বরে পালিত হল ক্রিসমাস ইভ বা যীশু পুজো। অন্যদিকে প্রতিবছরের মতো এবারও যিশুখ্রিস্টের আরাধনা হল কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে। রাত পোহালেই ক্রিসমাস। তার আগে সেজে উঠেছে সারা শহর। পার্ক স্ট্রিট থেকে বো-ব্যারাক, আলো ঝলমলে রাস্তায় মানুষের ভিড়। তবে বেলুড়মাঠ ও কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ছবিটা একেবারে আলাদা।
বেলুড়মঠে পালিত হল ক্রিসমাস ইভ
এদিন প্রথা মেনে সন্ধ্যা আরতির পর মূল মন্দিরের ভেতরে ডান দিকে যীশু পূজা হয়। মা মেরির কোলে যীশু, যীশুর প্রতিকৃতি রাখা আসনের চারপাশ আলো দিয়ে সজ্জিত করে ধুপ ধুনা ফুল মালা কেক মিষ্টি লজেন্স ইত্যাদি দিয়ে যীশুর পূজার্চনা করা হয়। মঠের সন্ন্যাসীরা ক্যারল সংগীত পরিবেশন করেন। ক্যারল গান,এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণ করে সন্ন্যাসীদের ভাষণ, বাইবেল পাঠ ইত্যাদি করা হয়। কথিত আছে রামকৃষ্ণ দেবের প্রয়াণের পর স্বামীজী তার কয়েকজন গুরু ভ্রাতাকে নিয়ে হুগলির আটপুরে এক গুরু ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক সন্ধ্যায় ধূনী জ্বালিয়ে তার গুরু ভাইদের যীশুর ত্যাগ, শক্তি প্রভৃতি বিষয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে সেই দিনটি ছিল ২৪ ডিসেম্বর,অর্থাৎ ক্রিসমাসের ঠিক আগের সন্ধ্যা। সেই দিন থেকেই স্মরণ করেই প্রতিবছর বেলুড়মঠে পালিত হয় এই যীশু পূজা। এই অনুষ্ঠান দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমায় মন্দির চত্বরে। পূজা শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে যীশুর আরাধনা
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহাসমারোহে যিশুপুজো হল। সন্ধ্যা আরতির পর শুরু হয় যিশুর আরাধনা। শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মন্দিরে তাঁর পাশেই প্রভু যিশুর ছবি বসিয়ে মোমবাতি, ফুল দিয়ে সাজানো হয়। ছবির সামনে দেওয়া হয় কেক, লজেন্স, ফল, পেস্ট্রি ও মিষ্টি। পরে যিশুর জন্মকাহিনী পাঠ করা হয়। মঠের নিয়ম মেনে ২৪ ডিসেম্বর মঠের সন্ধ্যা আরতির পরেই শুরু হয় এই বিশেষ অনুষ্ঠান। বিশেষ প্রার্থনা সঙ্গীত, বাইবেল পাঠের মধ্যে দিয়ে এই উৎসব পালন করা হয়। প্রতি বছরের মতো এই বছরও ৫৬ রকমের কেক দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয় রামকৃষ্ণ মঠে। গোটা মঠ চত্বর এদিন আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশন আয়োজিত বাইবেল পাঠ ও প্রাক ক্রিসমাস উপলক্ষে কামারপুকুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ধর্মপ্রাণ মানুষজন ভিড় জমান ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মভূমি কামারপুকুরে।
আরও পড়ুন: Shaan: শানের আবাসনে হঠাৎ আগুন, কেমন আছেন সঙ্গীতশিল্পী ও তাঁর পরিবার?