Congress: ‘সত্যমেব জয়তে,’ নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর প্রথম ট্যুইট কংগ্রেসের
Twitter handle of Congress restored: এখনও পর্যন্ত নতুন কোনও ট্যুইট করেননি রাহুল গাঁধী।
নয়াদিল্লি: কয়েকদিন লক করে রাখার পর আজ খুলে দেওয়া হল কংগ্রেস, দলীয় সাংসদ রাহুল গাঁধীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট। এরপরেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ট্যুইট করা হয়েছে, ‘সত্যমেব জয়তে’।
কয়েকদিন আগে ট্যুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্যই রাহুল, কংগ্রেস দল সহ বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ট্যুইটারের এই পদক্ষেপের পিছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাহুলও গতকাল এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ এদেশে রাজনীতিতে পক্ষ নিচ্ছে। ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট লক হয়ে গেলেও, তাঁর লড়াই থামবে না বলে দাবি করেন রাহুল।
সম্প্রতি দিল্লিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান রাহুল। কিন্তু, নির্যাতিতার মা-বাবার ছবি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট করেন কেরলের কংগ্রেস সাংসদ। তার জেরেই ব্যবস্থা নেয় ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। আজ সেই অ্যাকাউন্ট আলক করে দেওয়া হলেও, রাহুলের করা কয়েকটি ট্যুইট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট আনলক হয়ে গেলেও, এখনও পর্যন্ত কোনও ট্যুইট করেননি রাহুল। তাঁর শেষ ট্যুইট দেখা যাচ্ছে ৬ অগাস্ট করা।
রাহুল ও কংগ্রেস দলের ট্যুইটার অ্য়াকাউন্ট লক করার বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে প্রোফাইল পিকচারের জায়গায় রাহুলের ছবি আপলোড করেন। জাতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীনিবাস বি ভি ট্যুইটারের ডিপি-তে রাহুলের ছবি আপলোড করার পাশাপাশি অ্যাকাউন্টের নামও পাল্টে রাহুল গাঁধী করে দেন।
ইনস্টাগ্রামে রাহুল লেখেন, ‘কারও প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি দোষী। যদি নির্যাতিতার পরিবারের জন্য লড়াই করা অপরাধ হয় তো আমি দোষী। ওরা আমাকে একটি মাধ্যমে ব্লক করতে পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য কথা বলা বন্ধ করতে পারবে না।’
ট্যুইটারের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়, ‘কারও ট্যুইটে ট্যুইটারের নিয়ম লঙ্ঘিত হলে এবং অ্যাকাউন্টটি যাঁর, তিনি সেই ট্যুইট ডিলিট না করলে, আমরা একটি নোটিস দিয়ে সেই ট্যুইটটি আড়াল করে দিই। সেই ট্যুইট ডিলিট না করা পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট লক থাকে। জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের তরফে আমাদের জানানো হয়েছিল, এখানে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যাতে নিগৃহীতার মা-বাবার পরিচয় প্রকাশ্যে আসে। এটা ট্যুইটারের বিধির পরিপন্থী। এটা ভারতীয় আইনেরও পরিপন্থী।’