স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের না ডাকায় ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হল মিশনারি স্কুলকে
জব্বলপুর: স্বাধীনতা দিবসের দিন উদযাপনের সময় পড়ুয়াদের না ডাকার জন্য মিশনারি স্কুল কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করল হিন্দু সেনা। ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশে।
মধ্যপ্রদেশ ক্যাথলিক গির্জার মুখপাত্র ফাদার মারিয়া স্টিফেন জানান, ১৪ তারিখ জব্বলপুর জেলার খামারিয়া অঞ্চলের গাহনাতে অবস্থিত ওই মিশনারি স্কুল প্রাঙ্গনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
পরের দিন, অর্থাৎ ১৫ অগাস্ট, স্কুলের শিক্ষক ও কর্মীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রিন্সিপাল। কিন্তু, বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় পড়ুয়াদের ডাকা হয়নি।
এদিকে, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের অনুপস্থিতির কথা জানতে পেরে পরের দিনই স্কুলে যায় স্থানীয় হিন্দু সেনা সংগঠনের সদস্যরা। সঙ্গে যোগ দেন কয়েকজন পড়ুয়ার অভিভাবকরাও। স্টিফেনের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে ক্ষমা দাবি করে তারা।
প্রিন্সিপাল সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, কেন এবং কোন পরিস্থিতির কথা ভেবে পড়ুয়াদের ডাকা হয়নি। তারা এ-ও জানায়, প্রতিবছর অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে স্বাধীনতা ও প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয় স্কুলে।
কিন্তু, অভিযোগ, তাতে কর্ণপাত করেনি হিন্দু সেনা। স্টিফেনের অভিযোগ, প্রিন্সিপালকে কার্যত বাধ্য করা হয় ক্ষমা চাইতে। এধরনের চাপসৃষ্টি করার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। যদিও, পুলিশের দাবি, সংগঠন ও স্কুল কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নিয়েছে।