দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ পার্নো মিত্র সহ টলি-পাড়ার একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর
অভিনেতা-অভিনেত্রীদের স্বাগত জানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়নের কাজ অনুপ্রাণিত হয়েই এঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন।
নয়াদিল্লি ও কলকাতা: টলিপাড়ায় তৃণমূলের একাধিপত্যে বিজেপির থাবা। দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন বাংলা ফিল্ম ও টেলিভিশনের একঝাঁক তারকা। এই তালিকায় আছেন ঋষি কৌশিক, পার্ণো মিত্র, কাঞ্চনা মৈত্র, রূপাঞ্জনা মিত্রর মতো ব্যক্তিত্বরা। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, মুকুল রায়দের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন অভিনেতা ঋষি কৌশিক, অভিনেত্রী পার্ণো মিত্র, অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র, অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র, বিশ্বজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়, অরিন্দম হালদার ওরফে লামা, রূপা ভট্টাচার্য, মৌমিতা গুপ্ত, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরভ চক্রবর্তী-মতো একঝাঁক টলিউড-তারকা। প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিজেপির সদস্যপদ। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র বলেন, বাংলার শিল্পীদের কাজ সারা বিশ্বে প্রসিদ্ধ। আর আজ তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন। বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সবার অবগত হওয়া উচিত। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের স্বাগত জানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়নের কাজ অনুপ্রাণিত হয়েই এঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন। টালিগঞ্জে তৃণমূলের একাধিপত্যের মধ্যেই সিনেমা ও টিভির এই একঝাঁক পরিচিতদের গেরুয়া শিবিরে যোগদানের ঘটনা রাজ্য রাজনীতির পরিবর্তিত সমীকরণের প্রেক্ষাপটে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। শিল্পীদের কেউ সরব হলেন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে। কেউ আবার বললেন, রাজনীতি কখনও বন্ধুত্বের মাঝে আসতে পারবে না। তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ হোক কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর অন্য কোনও অনুষ্ঠান, টলিপাড়ার পরিচিতদের মুখের উপস্থিতি সবসময় থাকে! এবার বিজেপিও তারকাদের সমাবেশ। যদিও, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল শিবির। পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়ের দাবি, এনারা অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, এঁরা কোথায় যাবে, এটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়, আমরা বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব দেখছি, এমনটা নয়। টলিপাড়া যেভাবে দুই শিবিরে বিভক্ত হচ্ছে, তার জন্য বাংলার শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বামেরা। সিপিএম কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, যে কেউ যে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, আসলে তৃণমূল টলিউডকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছিল। এছাড়াও টলিপাড়ায় তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন ‘ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’-র আধিপত্যও এতদিন ছিল প্রশ্নাতীত। কিছুদিন আগেই টলিউডে পা রেখেছে বিজেপি। তৈরি হয়েছে, ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যান্ড কালচারাল কনফেডারেশন। সংগঠনের সভানেত্রী ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল। অপর সংগঠনটি হল বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ। যার সাধারণ সম্পাদক শঙ্কুদেব পণ্ডা।