রাফাল-বিতর্কের মধ্যেই ফ্রান্সে দাসো এভিয়েশনের কারখানায় হাজির প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ
প্যারিস: রাফাল-বিতর্কের মধ্যেই ফ্রান্স সফরে গিয়ে শুক্রবার দাসো এভিয়েশনের কারখানায় হাজির হলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। যুদ্ধবিমানের সরবরাহ নিয়ে কথা বললেন, সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে। এদিন দাসোর আর্জন্তেয়িলের কারখানায় উপস্থিত হন নির্মলা। নির্মাণের কাজ কতটা এগিয়েছে, সেই নিয়ে খোঁজখবর নেন। প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের সঙ্গে ৫৮ হাজার কোটি টাকার সরকারি পর্যায়ের চুক্তির বিনিময়ে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান সরাসরি কেনার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ওই বিমানগুলি হস্তান্তর হওয়ার কথা। কিন্তু, তার আগেই, চুক্তির অর্থ নিয়ে দেশে প্রবল বিতর্কের মধ্যে প্রবল বিরোধী সমালোচনার সম্মুখীন হয় কেন্দ্র। তার মধ্যেই, সীতারমণের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ। গতকালই, ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোহঁস পার্হলির সঙ্গে সাক্ষাত করেন নির্মলা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি, গত মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট এম্যানুয়েল মাকরঁর সঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যে ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, সেই নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেন নির্মলা-ফ্লোহঁস। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে একান্ত বৈঠক হয় দুই মন্ত্রীর মধ্যে। এরপর প্রতিনিধি-পর্যায়ের বৈঠকও হয়। সূত্রের খবর, উভয় দেশই যৌথভাবে সামরাস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণ এবং দুদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। তবে, বৈঠকে রাফাল-বিতর্ক নিয়ে কোনও কথা হয়েছে কি না, তা সরকারি তরফে জানানো হয়নি। বস্তুত, রাফাল বিতর্ক নতুন করে মাথাচাড়া দেয় গতমাসে প্রাক্তন ফরাসি রাষ্ট্রপতি ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদকে উদ্ধৃত করে সেদেশের সংবাদপত্রে প্রকাশ হওয়া একটি প্রতিবেদন ঘিরে। দাবি, সেখানে ওলাঁদ জানান যে, দাসো এভিয়েশনের ভারতীয় ডিফেন্স পার্টনার বাছার কোনও সুযোগ চুক্তিতে দেয়নি ভারত। সেখানে ভারতের তরফে অনিল অম্বানির সংস্থার নাম প্রস্তাব করা হয়। চুক্তির সময় রাষ্ট্রপতি ছিলেন ওলাঁদ। যদিও, ভারতের তরফে এই খবরের সত্যতা অস্বীকার করা হয়। কিন্তু, এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে প্রবল আক্রমণ করে কংগ্রেস। তাদের দাবি, ইউপিএ আমলে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে একটি বিমানের দাম ছিল ৫২৬ কোটি টাকা। সেখানে মোদি-সরকার প্রতি বিমান ১,৬৭০ কোটি টাকা দিয়ে কিনছে।