Tripura Civic Poll : ' আজ বা কাল কষিয়ে গণতন্ত্রের থাপ্পড় খাবে ', ত্রিপুরা পরিস্থিতি নিয়ে কড়া-ট্যুইট সায়নীর
Saayoni Ghosh Tweet : ' ত্রিপুরা বিজেপি মনে করে তারা আইনশৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে। সুপ্রিম কোর্টকে স্পষ্ট অবজ্ঞা।' ট্যুইটে সোচ্চার সায়নী ঘোষ। সকাল থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি ত্রিপুরা পুরভোট।
সকাল থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি ত্রিপুরা পুরভোট। নানা জায়গায় টুকরো অশান্তির আঁচ। অভিযোগ আসছে সে-রাজ্যের বিরোধীদের তরফে। মক পোলের সময় তৃণমূল প্রার্থীর দুই পোলিং এজেন্টকে ‘মারধরের অভিযোগ। আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। পুরভোটে আগের রাতেই প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ । অন্যদিকে আবার সিপিএমের অভিযোগ, বিলোনিয়ায় অবাধে ছাপ্পা ও বুথ দখল করা চলছে। দুই দলেরই অভিযোগের তির বিজেপির দিকে।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের নেত্রী সায়নী ঘোষের ঝাঁঝালো ট্যুইট, ' ত্রিপুরা বিজেপি মনে করে তারা আইনশৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে। সুপ্রিম কোর্টকে স্পষ্ট অবজ্ঞা। আগরতলা থেকে অবিরাম হুমকি ও হিংসার খবর আসছে। গণতন্ত্রই শেষ কথা বলবে এবং আজ বা আগামীকাল কষিয়ে চড় খাবে। এরপর সায়নী কটাক্ষ করে লেখেন , Mr.Cm Eat crow!
Tripura BJP thinks they are above law and order. Flagrant disregard to SC. News of incessant threats & violence coming in from Agartala. Democracy will have the last word & launch the tightest slap today or tomorrow. https://t.co/QsPifkrQIF Eat crow!
— Saayoni Ghosh (@sayani06) November 25, 2021
আরও পড়ুন : ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ভোট, ২১ ডিসেম্বর গণনা, বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আজ ত্রিপুরায় পুরভোট। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলছে ভোটগ্রহণ। রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় এরকমই ছবি চোখে পড়ল। পুরভোটের আগেই প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছে বিজেপি। বাকি আসনগুলিতে কী হবে, তা জানতে, আজ সবার নজর থাকবে ত্রিপুরায়। এরই মধ্যে পুরভোটের আগের রাতে বিরোধী প্রার্থীদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল। তৃণমূলের অভিযোগ, আমবাসায় ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের প্রার্থী স্বপ্না পালের বাড়িতে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি, আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শ্যামল পালের বাড়িতে বিজেপির বাইক বাহিনী হানা দেয় বলে অভিযোগ। সকালে মক পোলের সময় তৃণমূল প্রার্থীর দুই পোলিং এজেন্টকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুরভোটের আগেই সে রাজ্যে প্রচারে গিয়ে গ্রেফতার হন সায়নী ঘোষ। খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ। সোমবার ত্রিপুরা যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিনই দিল্লিতে ধর্নায় বসেন তৃণমূলের সাংসদরা। শনিবার রাতে আগরতলায় প্রচার সেরে ফিরছিলেন সায়নী ঘোষ, সুস্মিতা দেব, সুদীপ রাহারা। গাড়িতে চালকের পাশে বসেছিলেন সায়নী ঘোষ। সায়নী ঘোষের ট্যুইট করা ভিডিওতেই দেখা গেছে, রাস্তার পাশে এক জায়গায়, সভামঞ্চে ভাষণ দিচ্ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়, সভা নিয়ে কটাক্ষ করেন সায়নী। এরপর গাড়ি থেকেই খেলা হবে স্লোগান দেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী। এরপরই সায়নী ঘোষের গাড়ি ধাওয়া করেন বিজেপি কর্মীরা। এরপর সায়নীর ট্যুইট করা ভিডিওতে গাড়িতে আঘাতের শব্দ শোনা যায়। শনিবার রাতেই সায়নীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। রবিবার থানায় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। এরপর সোমবার জামিন পান সায়নী।