এক্সপ্লোর
Advertisement
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে নির্দেশ দিতে পারে কেন্দ্র, বলছেন প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়
প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, “সংবিধানের দুটো ধারা মনে পড়ছে। একটা ২৫৭ ও আর একটা ৩৫৫। ২৫৭ ধারায় বলছে, সরকার তার প্রশাসনিক ক্ষমতা এমনভাবে ব্যবহার করতে পারে না যেটা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগে কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। এখানে প্রয়োজন হলে কেন্দ্র সরকার নির্দেশ দিতে পারে। ৩৫৫ ধারায় দুটো ভাগ আছে। দ্বিতীয় ভাগে বলছে, প্রতিটি রাজ্য সরকার যাতে সংবিধান মেনে চলে, সেটা দেখার অধিকার আছে কেন্দ্রীয় সরকারের। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত হলেও, আইনশৃঙ্খলার প্রবল অবনতি হলে এবং তা সংবিধান অনুযায়ী না চললে, সেখানে কেন্দ্র সরকার নির্দেশ দিতে পারে। সংবিধান কেন্দ্র সরকারকে সে অধিকার দিয়েছে।”
কলকাতা: ডায়মণ্ড হারবারে জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজনীতির ময়দান। কেন্দ্র বনাম রাজ্য সংঘাত অন্য মাত্রা পেয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজ্যের মুখ্যসচিব ও জিডিপি-কে তলব করেছেন। যা থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যসচিব বা জিডিপি-কে কি এভাবে সশরীরে ডেকে পাঠানো যায়!
প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, “সংবিধানের দুটো ধারা মনে পড়ছে। একটা ২৫৭ ও আর একটা ৩৫৫। ২৫৭ ধারায় বলছে, সরকার তার প্রশাসনিক ক্ষমতা এমনভাবে ব্যবহার করতে পারে না যেটা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগে কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। এখানে প্রয়োজন হলে কেন্দ্র সরকার নির্দেশ দিতে পারে। ৩৫৫ ধারায় দুটো ভাগ আছে। দ্বিতীয় ভাগে বলছে, প্রতিটি রাজ্য সরকার যাতে সংবিধান মেনে চলে, সেটা দেখার অধিকার আছে কেন্দ্রীয় সরকারের। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত হলেও, আইনশৃঙ্খলার প্রবল অবনতি হলে এবং তা সংবিধান অনুযায়ী না চললে, সেখানে কেন্দ্র সরকার নির্দেশ দিতে পারে। সংবিধান কেন্দ্র সরকারকে সে অধিকার দিয়েছে।”
তবে সশরীরের হাজির থাকতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই বলে মনে করছেন অশোকবাবু। তিনি বলেছেন, “সশরীরের যেতে হবে না রিপোর্ট পাঠাতে হবে সেটা অন্য কথা। রাজ্যের মুখ্যসচিব যে চিঠি পাঠিয়েছেন, সেখানে তিনি চ্যালেঞ্জ করেননি। তিনি সশরীরে উপস্থিত হওয়া থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। তিনি সমস্ত বর্ণনা দিয়ে আর কী পদক্ষেপ করা হয়েছে সেটা সবিস্তারে জানিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশ মেনেছেন।”
এই প্রসঙ্গে অশোকবাবুর মনে পড়ে যাচ্ছে বাম আমলের কথা। বলছেন, “বামফ্রন্টের আমলে যখন নেতাইয়ে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তিনি চিঠিতে লিখেছিলেন, আপনার দলের হার্মাদদের নিয়ন্ত্রণ করুন, নাহলে আইনশৃঙ্খলাজনিত ঘোরাল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তখনও বামফ্রন্ট সরকার বলেছিল, এটা রাজ্যের এক্তিয়ার। কেন্দ্র নাক গলাতে পারে না। তা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের আবেদনকে মান্যতা দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। ব্যাপারটা সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়িয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে আমিও ছিলাম। সেই বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশকেই রেখেছিল। রাজ্য সরকারের আপত্তি ধোপে টেকেনি।”
অশোকবাবু যোগ করছেন, “সশরীরে ডাকার কথা সংবিধান বলতে পারে না। রাজ্য সরকার রিপোর্ট পাঠিয়েছে। কেন্দ্রের এক্তিয়ারকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেনি।”
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
জেলার
খবর
Advertisement