Afghanistan News : আফগানিস্তানে সম্পূর্ণ সামরিক অধিগ্রহণের আরও কাছে, জালালাবাদের দখল নিল তালিবানরা
আর রাজধানী কাবুলই জয় করা বাকি রইল তালিবানদের। মাজার-ই-শরিফের উত্তরে তালিবান বিরোধী ঘাঁটি দখল করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর রবিবার তালিবানরা পূর্বের মূল শহর জালালাবাদ দখল করে।
কাবুল : আফগানিস্তানে সম্পূর্ণ সামরিক অধিগ্রহণের আরও কাছে পৌঁছে গেল তালিবানরা। রবিবার আরও কয়েকটি বড় শহরের দখল নেয় তারা। এর জেরে শুধুমাত্র আর রাজধানী কাবুলই জয় করা বাকি রইল তালিবানদের। মাজার-ই-শরিফের উত্তরে তালিবান বিরোধী ঘাঁটি দখল করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর রবিবার তালিবানরা পূর্বের মূল শহর জালালাবাদ দখল করে।
জালালাবাদের এক বাসিন্দা আহমদ ওয়ালি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লিখেছেন, "আমরা আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সারা শহরে তালিবানরা সাদা পতাকায় ঢেকে দিয়েছে। তারা বিনা যুদ্ধে প্রবেশ করেছে।" এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকারের কাছে কয়েকটি মাত্র বিকল্প বাকি রইল। হয় রাজধানীর জন্য রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের প্রস্তুতি অথবা ক্ষমতা হারানো। শনিবার গনি সংকটের একটি "রাজনৈতিক সমাধান" চেয়ে সামরিক বাহিনীকে "পুনরায় সংঘবদ্ধ" করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, মাজার-ই-শরিফ এবং জালালাবাদকে পর পর হারানো গনি এবং তার সরকারের পিছনে বড় আঘাত।
আফগানিস্তানে একের পর এক শহর দখল করছে তালিবানরা। আফগানিস্তানের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে নিজেদের নাগরিকদে বের করে নেওয়ার কাজ করছে অনেক দেশ। বন্ধ হচ্ছে দূতাবাসও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডেনমার্ক পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পশ্চিমী দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
যদিও তালিবান মুখপাত্র মহম্মদ সুহেল শাহীন জানায় যে, তারা কোনও দূতাবাস বা কূটনীতিককে টার্গেট করবে না। কোনও বিপদ নেই তাঁদের। আমরা আমাদের বিবৃতিতে অনেকবার বলেছি। এটি আমাদের অঙ্গীকার।
এদিকে, আফগানিস্তানের মানুষের জন্য ভারতের অবদানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তালিবানরা। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে নয়াদিল্লির সাহায্যকে কুর্নিশ জানিয়েছে তালিবানরা।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে একটি সাক্ষাৎকারে তালিবান মুখপাত্র মহম্মদ সুহেল শাহীন জানায়, "আফগানিস্তানের জনগণের জন্য সেতু নির্মাণ, পরিকাঠামোর উন্নতিতে অনেক সাহায্য করেছে ভারত। এতে এখানকার অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য যা কিছু করা হয়েছে তার আমরা প্রশংসা করি।"