Afghanistan Update : আফগান আকাশে আশঙ্কার মেঘ ! ২৪ ঘণ্টায় 'দুই রাজধানী' দখল করল তালিবানরা
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মার্কিন সেনা দেশ ছাড়ার পরই দ্রুত আফগানিস্তানের দখল নিচ্ছে তালিবানিরা। জজানের ডেপুটি গভর্নর কাদার মালিয়া জানিয়েছেন, সরকারি আধিকারিক ও বাহিনী এখন বিমানবন্দরে সরে এসেছে।
কাবুল : ২৪ ঘণ্টা কাটল না, ফের আফগান প্রদেশের আরও এক রাজধানীর দখল নিল তালিবানিরা। জরঙ্গের পর এবার তাদের নিয়ন্ত্রণে জজানের শহর শেবারগন।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মার্কিন সেনা দেশ ছাড়ার পরই দ্রুত আফগানিস্তানের দখল নিচ্ছে তালিবানিরা। জজানের ডেপুটি গভর্নর কাদার মালিয়া জানিয়েছেন, সরকারি আধিকারিক ও বাহিনী এখন বিমানবন্দরে সরে এসেছে। দেশের এই পরিস্থিতি দেখে মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে আফগানিস্তান ছাড়ার কথা বলেছে আফগানিস্তানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।
দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বলছে, মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার পরই আগ্রাসী মনোভাব নিয়েছে তালিবানিরা। ৩১ অগাস্টের মধ্যেই আফগান ভূখণ্ড ছাড়বে মার্কিন সেনা। তার আগে মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত বাণিজ্যিক উড়ান ধরতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, কম স্টাফ নিয়ে দেশের নাগরিকদের সাহায্য করতে সমস্যায় পড়ছে মার্কিন দূতাবাস। এখন কেবল কাবুলেই পাওয়া যাচ্ছে দূতাবাসের পরিষেবা।
শুক্রবারই দখল করে নেওয়া হয় আফগান প্রদেশের রাজধানী জরঙ্গ। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ডেপুটি গভর্নর রুহ গুল খ্যারজাদ জানান, নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী জরঙ্গ এখন তালিবানিদের হাতে। দক্ষিণ-পশ্চিম আফগানিস্তানের এই অঞ্চল ইরানের সীমান্ত লাগোয়া। সেখানে যুদ্ধ ছাড়াই জিতে গিয়েছে তালিবানরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিয়ো। যেখানে রাস্তায় জঙ্গিদের উল্লাস ধরা পড়েছে। তবে ভিডিয়োর সত্যতার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম ও তথ্য বিভাগের প্রধান দাওয়া খান মীনাপালকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তালিবানরা। কদিন আগেই তালিবানি ঘাঁটিতে বিমান হানা বাড়ানোর জন্য সরকারকে হুঁশিয়ার করেছিল জঙ্গিরা। এর জন্য প্রশাসনের মাথাদের ভুগতে হবে বলেছিল তারা। মীনাপালকে হত্যা করে এবার বিমান হামলার বদলা নিল তালিবানিরা।
আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক চিত্র বলছে, সেনার সঙ্গে নিত্যদিন তালিবানি জঙ্গিদের লড়াই চলছে। দেশের একটি বড় অংশ এখন তালিবানিদের দখলে। যা উদ্ধার করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আফগান সেনা। তবে এখনও পর্যন্ত তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ সাফল্য পায়নি সেনাবাহিনী। উল্টে একের পর এক হাতছাড়া হয়ে চলেছে প্রদেশের বহু এলাকা।