(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bhagwat Gita: পাঠ্যসূচিতে যুক্ত হচ্ছে ভগবত গীতা, গুজরাতের পথেই হাঁটছে দেশের এই রাজ্য
Bhagwat Gita in Syllabus: সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুসারে, কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ বলেছেন যে পবিত্র ধর্মগ্রন্থটি কেবল হিন্দুদের জন্য নয়, এটি অন্যদের জন্যও জ্ঞানের উত্স।
নয়া দিল্লি: গুজরাতে স্কুলের সিলেবাসে গীতা যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দেশের এই রাজ্য। গুজরাতে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে গীতা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই গুজরাতে স্কুলের পাঠ্যসূচিতে গীতা পড়ানো হবে। গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রী বিধানসভায় জানালেন, ‘পড়ুয়াদের নীতি এবং মূল্যবোধ বাড়াতে সিদ্ধান্ত’। গুজরাতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কর্নাটক সরকার।
দক্ষিণের এই রাজ্যেও একই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুসারে, কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ বলেছেন যে পবিত্র ধর্মগ্রন্থটি কেবল হিন্দুদের জন্য নয়, এটি অন্যদের জন্যও জ্ঞানের উত্স। তিনি আগামী বছর থেকে নতুন অধিবেশন শুরু হলে এটি স্কুলগুলিতে একটি বিষয় হিসাবে চালু করার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য উদ্ধৃত করে এএনআই জানায়, "ভগবত গীতা শুধুমাত্র হিন্দুদের জন্য নয়, এটি সবার জন্য। বিশেষজ্ঞরা যদি বলেন এটি অবশ্যই চালু করা হবে - এই বছর থেকে নয়, আগামী বছর থেকে। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে নৈতিক বিজ্ঞান চালু করা হবে কিনা"।
আরও পড়ুন, কোভিড বিধি নেই একাধিক দেশে, সুযোগ পেয়েই বাড়ছে ওমিক্রন
এদিকে, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২২-এর অধীনে চলতি বছরের জুন মাস থেকে এই নয়া পাঠ্যসূচি চালু হচ্ছে। ভারতীয় জ্ঞানতন্ত্র (Indian Knowledge System/IKS) নামক বিশেষ পরিকল্পনার আওতায় রাখা হচ্ছে এই নয়া পাঠ্যসূচিকে। বৃহস্পতিবার গুজরাত বিধানসভায় এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জিতু বাঘানি। তিনি বলেন, “স্কুল পড়ুয়াদের গীতা এবং গীতার শ্লোকের মর্মার্থ সম্পর্কে বোধ থাকা জরুরি।”
এ দিন বিধানসভার অধিবেশনের পরই সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, ২০২২-’২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ষষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের গীতার মূল্যবোধ এবং নীতির সঙ্গে পরিচয় করানো হবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্কুলশিক্ষার প্রথম পর্যায়ে ভারতীয় সংস্কৃতি, জ্ঞানতন্ত্রকে রাখা হবে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের গীতার মূল্যবোধ এবং নীতি শেখানো হবে, যাতে এ ব্যাপারে তাদের জ্ঞান এবং আগ্রহ দুই-ই বাড়ে।’